চিকিৎসার নাম করে যশোরে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে (৪২) ধর্ষণের ঘটনায় ৩ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বুধবার দুপুরে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য প্রভাবশালী উঠে পড়ে লেগেছে।
জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলার নতুনহাট তেঘরি এলাকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবতী চিকিৎসার নামে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন একই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক গোলামের ছেলে ডা. শাহিনুর রহমান। ওই প্রতিবন্ধী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে পল্লী চিকিৎসককে জানানো হয়। তিনি অস্বীকার করলে প্রতিবন্ধীকে তার স্বজনরা আল্ট্রাসোনা করার জন্য মঙ্গলবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আসে। হাসপাতালের ডাক্তার সাজ্জাদ হোসেন অবিবাহিত যুবতী অন্তঃসত্ত্বার পরীক্ষা করতে হলে পুলিশের নিদের্শনা ছাড়া সম্ভব নয় তাই তাকে থানায় যোগাযোগের পরামর্শ দেন। বুধবার সকালে ওই প্রতিবন্ধী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কোতয়ালি মডেল থানার ডিউটি অফিসার এসআই নুরজাহান প্রথমে অভিযোগ গ্রহণের কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে প্রতিবন্ধী অভিযোগ দিতে এসেছিলেন কিন্তু অভিযোগ দেননি বলে জানান।
প্রতিবন্ধীর চাচা জানান, বিষয়টি জানার পর সোমবার বিকালে ইউপি সদস্য মনকিরকে জানানো হয়। তিনি সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার থানায় যোগাযোগ করতে বলেছেন। বুধবার থানায় গেলে প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। পরবর্তীতে অভিযোগ নিয়েছে।
ইউপি সদস্য মানকির জানান, প্রতিবন্ধী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা জানতে পেরেছি। তাদেরকে আইনী পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত ডা. শাহিনুর রহমান মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করে নিউজটি না করার অনুরোধ করেন। এরপর তার বিভিন্ন স্বজনরা নিউজ না করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।
দেয়াড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান জানান, করোনার কারণে অসহায় দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণে ব্যস্ত আছি। বিষয়টি শুনেছি।
যশোর কোতয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) শেখ তাসলিম আলম জানান, বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগটি এখনো হাতে পায়নি।