নীলফামারীর ডিমলায় প্রাইভেট চেম্বার গুলোতে ডাক্তাররা জমজমাট ব্যবসা করে আসছে দির্ঘদিন থেকে। কিন্তু হটাৎ করে করোনা ভাইরাসের কারণে চেম্বার গুলোতে ডাক্তার উপস্থিতি শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। চিকিৎসা নিতে রোগী আসলেও চেম্বার ছেড়ে পালিয়েছে ডাক্তার।
উপজেলার মেডিকেল মোড়ে রং বেরংয়ের সাইবোর্ড টানিয়ে বিভিন্ন প্যাথলজি, ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার ও ঔষধের দোকাল গুলোতে এসব ডাক্তারের প্রতিযোগিতা মূলক জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো রোগী দেখার।
মেডিকেল মোড়ের হেলথ্ কেয়ার ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এখানে নিয়মিত এক যুগ ধরে রোগী দেখেন ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা (অবসর প্রাপ্ত) ডাঃ দীন মোহাম্মদ, আলম ফার্মেসী এখানে প্রায় ১৫ বছর ধরে রোগী দেখেন ডিমলা হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত ডাঃ মোঃ শমসের আলী মিয়া, রহমান প্রেশক্রিপশন সেন্টারে নিয়মিত রোগী দ্যাখেন নীলফামারী সরকারী হাসপাতালের ডাঃ রাশেদুল ইসলাম ও ডাঃ আবদুর রহিম মিন্টু, মনি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এখানে রোগী দ্যাখেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাঃ মহসিন আলী গত দিন গুলোতে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাভোগ করে আসলেও বর্তমানে করোনা ভাইরাস পরিস্থিত কারণে গত ১৫ মার্চ থেকে সে সকল প্রাইভেট প্রাকটিস করা ডাক্তারদের কাছে চিকিৎসা নিতে রোগী আসলেও ডাক্তাদের দেখা মিলছেনা বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী রোগীর স্বজরা। স্বজরা বলছে, আমরা দির্ঘদিন হতে যে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা সেবা নিয়ে আসছি হটাৎ করোনা ভাইরাসের কারণে তাদেরকে চেম্বারে পাওয়া যাচ্ছেনা।
এমনকি মোবাইল ফোনে কল করলেও তারা ফোন রিসিভ করে রোগী জানতে পেরে ফোন কেটে দেন।
রোগীর স্বজনরা এসব সুবিধাভোগি ডাক্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিতে শংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। অভিযুক্ত ডাক্তারদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। ডিমলা হাসপাতালের স¦াস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা সারোয়ার আলম বলেন, প্রাইভেট চেম্বার গুলোতে এ সময় ডাক্তার থাকার বিষয়টি দুঃখ জনক। তবে আমাদের কাছে মন্ত্রনালয়ের সুনিদৃষ্ট লিখিত কোন পত্র না আসায় অভিযুক্ত ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা সম্ভব হচ্ছেনা। তিনি বলেন, ডিমলা হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার, ডেন্টাল সার্জন, ইউএইচ এফ পিও সহ মোট ১৩ জন ডাঃ কর্মরত রয়েছেন। তারা হাসপাতালে আসা রোগীদের নিয়মিত সেবা প্রদান করে আসছেন। রোগীরা হতাশ হয়ে তাদের মনের মত ডাক্তার না পেয়ে চিকিৎসা না নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন।