দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, পরিবার ও দেশের স্বার্থে কভিড-১৯ নোবেল করোনাভাইরাসের ভয়াবহ আক্রমণ ঠেকাতে এখনই সময় সকল মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার । নিজেকে নিরাপদ রাখতে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তি হতে দুরে থাকুন। কখনোই নাক-মুখ না ঢেকে হাঁচি-কাশি দিবেন না। যে বস্তুতে অনেক মানুষের হাত পড়ে সিঁড়ির রেলিং, দরজার লক, কম্পিউটারের মাউস বা ফোন, গাড়ির বা মটর সাইকেলের হাতল ধরার পর সাবান-পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন। ক্যাপ্টেন তাজ বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা মোতাবেক করোনায় বেকার কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌছে যাচ্ছে এবং এই দূর্যোগ মোকাবেলায় রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি বিত্ত্ববানরা এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কোন মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেই দিকে নজর রাখার জন্যে নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদান করেন। প্রথম ধাপে ৫ হাজার প্যাকেট দ্বিতীয় ধাপে ৭ হাজার প্যাকেট বিরতণ করা হয়েছে এবং তৃতীয় ধাপে আবার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে। বাঞ্ছারামপুরের একজন মানুষও খাবারের জন্যে কষ্ট পাবে তা হতে দিব না। আজ সোমবার দুপুরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদের সামনে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন সরোয়ার, সহ-সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, তফাজ্জল হোসেন, একেএম শহিদুল হক বাবুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাস্কৃতিক সম্পাদক এবিএম মাহববুর রহমান উজ্জল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহমূদুল হাসান ভূইয়া, সাধারন সম্পাদক আল আমিন, শ্রমিকলীগ আহ্বায়ক সৈয়দ আঃ আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল আহমেদ, সাধারন সম্পাদক আলাউদ্দিন সরকার, কাউন্সিলর অহিদ মিয়া প্রমুখ। পরে তিনি ১৩টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভায় চাল, ডাল, আটা, তেল, পেয়াজসহ ৭ হাজার প্যাকেট নছিমনে করে পাঠিয়ে দেন। খাদ্যসামগ্রীর গাড়ি গ্রামে পৌছার পর স্থানীয় নেতাকর্মীরা পূর্বনির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী কর্মহীন ও অস্বচ্ছলদের ঘরে ঘরে পৌছে দিবেন।