করোনা মোকাবেলায় লক্ষ্মীপুরে মানুষজনকে ঘরে রাখতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন জেলা প্রশাসনসহ সেনাবাহিনী। সকাল থেকে লক্ষ্মীপুরে সরকারের বিধি নিষেধ অমান্যকারী বেশ এক জনকে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় গিয়ে লোকজনকে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী। কয়েকদিন সামনে যে স্থানীয় হাটবারগুলোতে সরকারী নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে জনসমাগম থাকলে আজ নেই সমাগম। তবে দুই একজনকে তাদের উৎপাদিত পন্য সামগ্রী নিয়ে বাজারে আসতে ও বাজারে খাদ্য জিনিস ও দাওয়াই ক্রয়ে আসতে দেখা গেছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে পুলিশের হাতল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে মানুষজন ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে না। তবে গ্রামগুলোতে লোকজন দাঁড়িয়ে খোঁশ গল্পে আড্ডা উক্তি বলতে দেখো গেছে। তবে প্রশাসনের গাড়ী আসতে দেখলেই তারা নিরবে সরে যাচ্ছে। প্রশাসনের গাড়ী চলে গেলে আবারো তারা রাস্তায় আড্ডা দিতে দেখা যায়। এই ভাবে চলতে থাকলে সরকারের যে উদ্যোগ তা বিফলে যাবে বলে মনে করছে সচেতন মহল।
এ সময় কুমিল্লা ৩৩ পদাতিক ডিবিশন আর্টিলারী বিগ্রেড কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সামছুল আরেফিন জনসাধারণকে ঘর বের না হয়ে করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে, পরিবারকে, সমাজকে তথা দেশকে রক্ষার জন্য আহবান জানান।
একই সঙ্গে তিনি সাধারণ মানুষের মাঝে সময় মাস্ক, সাবান এবং স্যানিটাইজিং বিতরন করেন। তিনি মসজিদের ইমাম, বাজারের ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন স্তরের লোকের সাথে উক্তি বলেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন, জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, লে.কর্ণেল জিয়াউর রহমান, পুলিশ সুপার ড. এসএম কামরুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফ্ফার, বাড়তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহিদুল ইসলাম। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মাইকিং হোমকোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য মাইকিং করে জনগনের পাশে সতর্ক বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়। বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আরেফিন সবাইকে সচেতন হয়ে একযোগে প্রাণঘাতি করোনার বিরুদ্ধে পেশা করার আহবান জানান। একই সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কোয়ারেন্টাইন ভাঙ্গার অপরাধে অল্পসংখ্যক ৩যাত্রীবহনকারী প্রাইভেট কার এবং মটর সাইকেলের জরিমানা আদায় সাধন হয়।
স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা এবং সাধারণ মানুষকে নিজেদের ব্যাপারে আরো বেশী যত্নবান হওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর এ অভিযান।
এর আগের দিন রোববার রাতে জেলা প্রশাসন থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি বনি আমিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হোসেন, মুকবুল হোসেনসহ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পৌরসভার ১, ১০, ১১, ও ১৩ নং ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি যেয়ে বেদে পরিবার, রিক্সা, ভ্যান এবং পরিবহন শ্রমিক পরিবারের প্রায় দু’শ পরিবারের মাঝে খাদ্য জিনিস সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়।
এর মধ্যে ১০ কেজি চাল, দু’কেজি আলু, এক কেজি মসুর ডাল, আড়াইশ গ্রাম সরিষা তেল এবং একটি করে সাবান।