সন্ধ্যারাতে সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর সরকারী প্রাইমারী স্কুলের মোড়ে গতিরোধ করে ছিনতাইয়ের ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ছিনতাইয়ের ঘটনা এড়িয়ে অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে। ছিনতাইকারীদের ধারালো ছুরিকাঘাতে রিজন হোসেন (২০) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে। সহযোগী আরো দু’জন আহত হয়েছেন।পুলিশ ছিনতাইয়ের ঘটনায় এজাহার নামীয় আসামী মহিন ওরফে মঈনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। সে হযরত আলী বাবুর ছেলে।
সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর ঈদগাহ পাড়ার আমির হোসেনের ছেলে রিজন হোসেন মঙ্গলবার ৭ এপ্রিল সকালে কোতয়ালি মডেল থানায় দায়েরকৃত এজাহারে বলেছেন, সোমবার ৬ এপ্রিল সে তার ভাই ইমন ও বন্ধু শহরের বারান্দীপাড়া নাথপাড়ার কামরুজ্জামানের ছেলে রাশেদ এড়েন্দা গ্রাম থেকে ফিরছিল। এড়েন্দা গ্রামের মামা রহিমের কাছ থেকে গরু বিক্রির নগদ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে সন্ধ্যায় মোটর সাইকেল যোগে তিনজন ফিরছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় তারা সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর প্রাইমারী স্কুলের মোড়ে পৌছালে ঝুমঝুমপুর ঈদগাহ পাড়ার বাবুর ছেলে মহিন ওরফে মঈন তাদের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। পরে মহিন তার কাছে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। সহযোগী একই এলাকার রেজাউল ইসলামের ছেলে রুহুল আমিন রিজন হোসেনকে চাকু মারে। অপর সহযোগী ঝুমঝুমপুর ঈদগাহ পাড়ার রাজসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন ইমন ও রাশেদকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে। ছিনতাইকারীরা কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকী দিয়ে চলে যায়। রিজন হোসেনের সহযোগীরা রিজন হোসেনকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।