করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সচেতনতা সৃষ্টিসহ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শ্যামনগর উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন। উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবুর তৎপরতাও চোখে পড়ার মত।
তবে বিশালায়তনের উপকুলবর্তী এ উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে জনসাধারনকে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে সজাগ করতে নিরলস পরিশ্রম করছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব আব্দুল হাই সিদ্দিকী।
সদ্য যোগদানকারী সরকারি এ কর্মকর্তা মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু করে অদ্যবধি উপজেলার প্রায় সকল প্রান্তে প্রতিনিয়ত ছুটে চেষ্টা করছেন স্থানীয়দের সচেতন করতে। এছাড়া জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নির্দেশনা আসার পর থেকে তিনি স্থানীয়দের মধ্যে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি দারুন দক্ষতার সাথে মনিটরিং এর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় তিনি বাজার ঘাট ও রাস্তায় অপ্রয়োজনীয় চলাচলের বিষয়টি সামলাচ্ছেন দারুনভাবে।
সরকারি ঘোষনায় সরকারি দপ্তরসমুহ আপাতত বন্ধ থাকায় দিনের অধিকাংশ ভাগ সময় তিনি ব্যয় করছেন স্থানীয়দের সচেতন করতে। ইতিমধ্যে করোনার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিসহ সামাজিক দুরত্ব রক্ষায় তার ক্লান্তিহীন প্রচেষ্টা স্থানীয়দের মাঝে প্রভাব ফেলেছে বলে অনেকে জানিয়েছে।
করোনা সংক্রান্ত সচেতনতা সৃষ্টির অংশ হিসেবে তিনি প্রতিদিনের ন্যায় ৮ এপ্রিল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যেয়ে হ্যান্ড মাইকে প্রচারনা চালায়। এসময় তিনি নকিপুর, নওয়াবেঁকী, আটুলিয়া, চুনাব্রিজ, কাছারী ব্রিজ, আড়পাঙ্গাশিয়া, কলবাড়ি, মুন্সিগঞ্জ, মুনসুর সরদারের গ্যারেজ, আবাদচন্ডিপুর,জাবাখালী, গোমানতলী, সোনার মোড় ও গোডাউনমোড়সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরির্দশন করেন।
এবিষয়ে জনাব আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্ত্বাবধানে স্থানীয়দের সচেতন করতে চেষ্টা করছেন। একইসাথে অপ্রয়োজনে বাইরে যেন কেউ বের না হয় এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখে সে বিষয়েও সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। সরকারি ঘোণা মেনে না চলায় নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।