বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিপাকে পড়া অর্ধশতাধিক ছিন্নমূল মানুষ কে নিয়মিত তিন বেলা খাবার দিচ্ছেন গরীবের রাজা নামের এক ব্যক্তি। তিনি সান্তাহার জংশন স্টেশনের ভোজনালয় হোটেলে রান্না করে এ সব মানুষের মাঝে তিন বেলা খাবার খাওয়াছেন।
জানা গেছে, গত ২৪ মার্চ থেকে সারা দেশের ন্যায় বগুড়ার সান্তাহার জংশন শহরের অলিখিত লকডাউন শুরু হলে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন, বাসসহ সকল প্রকার দোকানপাট ফলে জনশূণ্য হয়ে পড়ে রেলওয়ে স্টেশন এলাকা। ফলে স্টেশন থাকা ছিন্নমূল মানুষরা মহা বিপদে পড়েন যায়। এ ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকায় ছুটাছুটি করেও যে খাবার সংগ্রহ করবে তারও উপায় নেই। ঠিক তখন সান্তাহার মাইকো ষ্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা আজিজুল হক রাজা নামে এক ব্যক্তি প্রথমে তার নিজ উদ্যোগে এসব ছিন্নমূল মানুষের জন্য খাবার খাওয়ানোর দায়িত্ব নেয়। পরে এই খবর দেশের বিভিন্ন পত্রিকায়, অনলাইন ও স্যোসাল মিডিয়াতে প্রচার হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। তখন থেকে গরীবের রাজা কে বিভিন্ন লোকজন সাহায্য ও সহয়োগীতা হাত বাড়িয়ে দেয়। তার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল বেলা আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহামুদুর রহমান পিন্টু সান্তাহার ষ্টেশনে নিজে এসে আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম খান রাজুর তহবিল থেকে ১শত কেজি চাল, ২০ কেজি আলু, ১০ কেজি ডাল, ১০ কেজি তেল। তার নিজ ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫ হাজার টাকা ও এমপি পুত্র মারুফ ইসলাম তালুকদার প্রিন্সের তহবিল থেকে ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আদমদীঘি উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা মশিউর রহমান সজল, ছাত্রলীগ নেতা আহসান হাবিব জয়, মোরর্শেদ, পিয়াল, সৈকত, শান্ত, সাকিল, মিরাজ, আরাফাত প্রমুখ।
এ ব্যাপারে আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান পিন্টু বলেন, রাজার সত্যি এক গরীবের রাজা। রাজা মতো সমাজের অন্যদেরও এভাবে এগিয়ে আসা উচিৎ। তার এই মহৎ উদ্যোগ কে আমি স্বাগত জানাই। খাবারের মান বাড়াতে আমি ব্যক্তিগত ভাবে সহায়তা করেছি। ভবিষ্যতে আরোও সহযোগীতা করবো।