স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলা এবং গাফলতির কারনে চিকিৎসা না পেয়ে ক্লিনিকে নেওয়ার সময় রাস্তার উপর সন্তান প্রসব করলেন হতভাগা গৃহবধু মাহামুদা আক্তার (২০)। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোপালপুর রাস্তায়। তিনি উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের স্ত্রী। সন্তান প্রসবের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম রাব্বানী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ ঘটনাটির খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। এমন ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের ধিক্কার জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের স্ত্রী মাহামুদা আক্তারের আজ বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে সন্তান প্রসবের পেটের ব্যাথা উঠে। পরিবারের সদস্যরা গর্ভবতি মাহামুদাকে নিয়ে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সন্তান প্রসবের জন্য নিয়ে যায়। ওই সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও নার্স থাকলেও গর্ভবতি মাহামুদার চিকিৎসার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। গৃহবধুর পরিবারের সদস্যরা বার বার চিকিৎসকদের অনুরোধ করলেও তারা তাদের কথায় কর্ণপাতা না করে অন্যত্রে সন্তান প্রসবের কথা তাদেরকে সাফ জানিয়ে দেন। পরিবারের সদস্যরা নিরুপায় হয়ে ভবানীগঞ্জ ক্লিনিকে নেয়ার পথে গোপালপুর গ্রামের পাকা রাস্তায় গৃহবধু মাহামুদা আক্তার সন্তান প্রসব করে। গোপালপুর গ্রামের লোকজন দেখতে পেয়ে ওই এলাকার নারীদের দিয়ে গৃহবধু মাহামুদার সেবাযত্মের মাধ্যমে সুস্থ করে তুলে। সকালে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায় এবং সন্তান প্রসব মাহামুদা ও তার সন্তানকে বাড়িতে নিয়ে আসে। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এলাকার লোকজন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের সহযোগীতায় দায়ীত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম রাব্বানী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং বিষয়টির খোজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ এমন ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।