নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আশড়ন্দ ও মধুইল বাজারে অবস্থিত ৩টি ঔষধের দোকানে অবৈধ নেশাজাতীয় ওষুধ রেখে বিক্রির অভিযোগে জরিমানা সহ এক সপ্তাহের জন্য দোকান গুলো বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে আশড়ন্দ বাজারের অবস্থিত মাসুম মেডিসিন ষ্টোরের মালিক আবদুল মাতিন দীর্ঘ দিন ধরে তার দোকানে অবৈধ নেশা জাতীয় ওষুধ রেখে এলাকার মাদকসেবীদের নিকট বিক্রি করে আসছিল। গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে বাজারের জৈনক মাদকসেবী যুবকের নিকট নেশা জাতীয় ট্যাবলেট বিক্রির সময় আইহাই ইউনিয়ন যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তাৎক্ষনিক ওই দোকান বন্ধ করে দেয়। বিকেলে আইহাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাদেকুল ইসলামের সভাতিত্বে একটি শালিস বৈঠক বসে। শালিস বৈঠকে আবদুল মাতিন তার অপরাধ স্বিকার করলে শালিসদারগণ তার ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে। সেই সাথে এ ধরনের অনৈতিক কাজ আর কোন দিন তিনি করবেন না বলেও অঙ্গিকার করেন। এ বিষয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন জানান বেশ কিছুদিন ধরে আশড়ন্দ ও মধইল বাজারে কতিপয় অসাধু ওষুধ দোকানদার এলাকার উঠতি বয়সের তরুন যুবকদের নিকট বিভিন্ন ধরনের অবৈধ নেশাজাতীয় ওষুধ বিক্রি করছে। এলাকার যুব সমাজ কে এই ভয়াবহ মাদকের হাত থেকে রক্ষার জন্য তিনিও নিরলস ভাবে কাজ করছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় ড্রাগ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন যে পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে উল্লিখিত ঘটনার প্রেক্ষিতে ড্্রাগ সমিতিতে জরুরী বৈঠক বসে ওই বৈঠকে অভিযুক্ত আশড়ন্দ বাজারে অবস্থিত মাসুম মেডিসিন ষ্টোর এর মালিক আবদুল মাতিন,জয় মেডিসিন কর্নার এর মালিক আনোয়ার হোসেন ও মধইল বাজারের হাজী মেডিসিন ষ্টোরের মালিক সিয়াম হোসেন এর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা থাকার ড্রাগ সমিতির পক্ষ থেকে তাদের নিকট থেকে লিখিত মুসলেকা গ্রহন সহ ৫হাজার টাকা করে জরিমানা ও এক সপ্তাহ অভিযুক্ত ওই ৩ টি ঔষধের দোকান বন্ধ ঘোষনা করা হয়। তিনি আরো জানান যে মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ইউনিয়নের কর্মহীন অসহায় ৫০টি পরিবারের মধ্যে জরিমানার টাকা দিয়ে খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করে ড্রাগ সমিতির পক্ষ থেকে বিতরণ করা হবে। অপর দিকে আইহাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন জুয়েল জানান আই হাই ইউনিয়নে করোনা পরিস্থিতির শিকার অসহায় দিন মজুর শ্রমজীবি পরিবার গুলোর মধ্যে ত্রান সামগ্রী বিতরনের জন্য বিশেষ ফান্ড গঠন করা হয়েছে। ওষুধ দোকানদার আবদুল মাতিনের জরিমানার ২০ হাজার টাকাও খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করে অসহায় লোকজনের মাঝে বিতরণ করা হবে।