করোনা সংকটে কর্মহীন মানুষের জন্য দিনরাত ছুটে চলেছেন রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের এমপি ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী। ইতিমধ্যে কর্মহীনদের জন্য তহবিল গঠন করে প্রসংশিত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, কর্মহীন হয় পড়া জেলার তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলার মানুষের জন্য হটলাইন চালু করেছেন তিনি। হটলাইনে কেউ ফোন করলেই রাতের আধারে সেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে ঘরে ঘরে পৌছে দিচ্ছেন খাদ্য সহায়তা।
সরকারি ত্রানের পাশাপাশি নিজের অর্থ দিয়েও কর্মহীন মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন তিনি। নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন নিজের নির্বাচনী এলাকা তানোর-গোদাগাড়ী উপজেলায় কর্মহীন মানুষের। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে চলেছেন তিনি। জেলার অন্য এমপি ও জনপ্রতিনিধিদের মাঠের অগ্রগতি তেমন না থাকলেও ফারুক চৌধুরী সকাল হলেই ছুটে যাচ্ছেন নিজ নির্বাচনী এলাকায়। সকালে তানোরে তো বিকেলে ছুটছেন গোদাগাড়ীতে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে কর্মহীনদের ঘরে ঘরে পৌছে দিচ্ছেন খাদ্য সহায়তা। এতে দুই উপজেলার মানুষ অনেক খুশি। তারা বলছেন, চরম দুর্দিনে ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি অন্যদের মত ‘ঘরে বসে না থেকে’ সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অভাবি মানুষের খোঁজ নিচ্ছেন নিয়মিত। রিকশা চালক, চা বিক্রেতা, দৈনিক মজুরিভিত্তিক মানুষ যারা সরকারি নির্দেশনা মানতে ঘরে বসে আছেন। তাদের খোঁজ নিয়মিত রাখছেন তিনি। আর নিজস্ব হটলাইনে কারো কল পেলেই খোঁজ নিয়েই চাল, ডাল ও নগদ অর্থ নিয়ে রাতের আধারে পৌছে দিচ্ছেন তিনি। প্রতিদিন দুই উপজেলায় অন্তত ৬ থেকে ৮শ মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা বিলাচ্ছেন তিনি।
একদিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন অন্যদিকে নানাভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের ঘরে পৌছে দিচ্ছেন খাদ্য সহায়তা। বুধবার ওমর ফারুক চৌধূরী এমপি যখন তানোরের মানুষের খোঁজ নিতে যাচ্চিলেন, তখন কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এবং মানুষের চরম দুর্দিনে তিনি মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছেন। শক্ত মনোবল নিয়ে তিনি খোঁজ নিচ্ছেন নির্বাচনী এলাকার অসহায় গরীব মানুষের। এই সময় কর্মহীন মানুষের পাশে দাড়ানো ছাড়া আর কোনো কাজ নেই তার।
করোনা বিস্তার রোধে জন সচেতনতার পাশাপাশি তিনি মানুষকে করোনা যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য সাহসও দিচ্ছেন। মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন। তিনি বলেন, ত্রানের জন্য বাইরে আসতে হবে না। ঘরে থাকলেই সময়মত খাদ্য সহায়তা ও প্রয়োজনীয় অর্থও পৌছে দেওয়া হবে। তার কথামত খাদ্য সহায়তা পৌছেও যাচ্ছে কর্মহীনদের ঘরে। তিনি বলেন, এই সময় কেউ না খেয়ে থাকবে না। সবার ঘরে খাদ্য পৌছে দিবেন তিনি।
তিনি বলেন, করোনা সংকটে শ্রমজীবি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আর এইসব কর্মহীন মানুষের পাশে এখনই দাড়ানোর সময়। তাই তিনি সাধ্যমত দাড়ানোর চেষ্টা করছেন। নির্বাচনী এলাকার দুটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, চারটি পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাধ্যমেও এলাকার মানুষের খোঁজ নিয়ে তাদের কাছে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন তিনি।
প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কর্মহীন মানুষের মাঝে চাল, ডাল, আলু, তেল, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য তুলে দিচ্ছে ওমর ফারুক চৌধুুরী। জেলার তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, করোনা সংকটে কর্মহীনদের জন্য সর্বস্ব নিয়ে মাঠে নেমেছেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি। তার নির্দেশনায় নিয়মিত দুটি উপজেলার মানুষের খোঁজ খবর নিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেওয়া হচ্ছে ঘরে ঘরে। কাউকে ডেকে লাইনে দাঁড় করিয়ে এসব সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। সবাইকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থানের বার্তা দিয়ে তাদের ঘরেই পৌছে দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা। এতে কর্মহীনরা খুশি হচ্ছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, এরইমধ্যে কর্মহীনদের জন্য সমন্বিত তহবিল গঠন করা হয়েছে। ব্যাংকে কর্মহীনদের জন্য আলাদা হিসাব চালু করা হয়েছে। সেই হিসেবে অর্থশালীদের সহায়তার আহ্বান জানানো হয়েছে। যে যারমত সামর্থ অনুযায়ী সেখানে সহায়তা দিচ্ছেন। সেখান থেকে প্রয়োজনমত কর্মহীনদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি নিজস্ব হটলাইন চালু করেছেন। নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হটলাইন নম্বরে (০১৭১১-৮১৯২৪৭/০১৭১১-০৬৮৪৫০/০১৭১৬-৩৮৯৯৬০) যারা লজ্জায় নিজের কস্টের কথা সরাসরি বলতে পারবেন না তাদের এসএমএম করার অনুরোধ করা হয়েছে। ওই নম্বরে কেউ এসএমএস ও যোগাযোগ করলেই তার ঘরে পৌছে দেওয়া হচ্ছে ফারুক চৌধুরী পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা। এতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।