রংপুরের তারাগঞ্জে তিস্তা ব্যারেজ সেচ ক্যানেলের পাড় ভেংঙে দশটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।এতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে গ্রাম রাস্তাঘাটসহ প্রায় ১০০ হেক্টও আবাদি জমি।
রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের তিস্তা ব্যারেজ ক্যানেলের পাড় ভেংঙে যায়।্এতে করে অনন্তপুর মিস্ত্রিপাড়া দখ্কিনপাড়া,ডাংগাপাড়া হাজিপাড়া বড়বারী,আখিরারপাড়সহ দশটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।পাড় ভেংঙে পর থেকে পানির তিব্র স্রােতে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আফজালুল হক। চেয়ারম্যান জানান,তার নিজের বাড়ীসহ গ্রামের অসংখ্য ঘরবাড়ীতে পানি ঢুকছে।রাস্তাঘাট,ছোট ছোট ব্রীজ ও কালর্ভাট পানির তোওে ভেংঙে যাবার উপক্রমহয়েছে।পাড়ের ৫০ ফিটের মতঅংশ ভেংঙে গেছে। এতে করে অন্তত আট থেকে দশটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় খতিগ্রস্ত লোকজনের দাবি, সেচ ক্যানেলের পাড়ের নিচের দিকে মাটি নরম হওয়ায় পাড় ভেংঙে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে।এর আগে ওই পাড়ে ছোট ছোট গর্ত তৈরি হয়েছিল।ধারনা করা হচেছ মাটি নরম ও গর্ত থেকেই এই ক্যানেলের পাড় ভেংঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।এতে অন্তত ১০টি গ্রামের ১০০ হেক্টও আবাদি জমি দুটি ইট ভাঁটা মৎসখামার রাস্তাঘাট সবকিছু পানির নিচে নিমজ্জিত।পাড় ভেংঙে গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এব্যাপারে তারাগঞ্জ ্উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অশোক কুমার বলেন, তিস্তা ব্যারেজ সেচ ক্যানেলের পাড়ের ৪০ ফিটের মত অংশ ভেংঙে গেছে।এতে নিচু এলাকার জমিসহ অন্তত ১০০ হেক্টর কৃষি জমিতে পানি ঢুকে পড়েছে।তবে সকালের মত এত স্রােত নেই।২/১ দিনের মধ্যে বুঝা যাবে কি পরিমান খতি হয়েছে। তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন কুর্শা ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের তিস্তা ব্যারেজ সেচ ক্যানেলের একাংশের পাড় ভেংঙেকয়েকটি পাড়া প্লাবিত হয়েছে।এতে প্রার ৩০০ একর কৃমি জমিতে পানি ঢুকেছে। কৃষক ও মৎসজীবিরা খ্কতিগ্রস্থ হয়েছে।তবে সকালের মত এখন আর পানির তোড় জোড় নেই। সন্ধ্যা নাগাত পানি নেমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।