নওগাঁর পত্নীতলায় বিকেল ৫টার পর লক ডাউন বাস্তবাযনের তোড়জোড় শুরু হলেও কার্যত এরআগে দিনব্যাপি চলছে ঢিলেঢালা। সকাল থেকে স্বাভাবিক ভাবেই মানুষ তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে ভ্যান, অটোরিকশা, সাইকেল, মোটর সাইকেল, ভুটভুটি, নছিমন কিংবা করিমন। ভ্যান, অটোরিকশাগুলো মানুষ ভর্তি করে দেদারছে চলাচল করলেও যেন দেখার কেউ নেই। একসাথে একাধিক ব্যক্তির আনাগোনা বা জটলা না করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার নির্দেশনা প্রদান করা হলেও কে শোনে কার কথা। নিয়মমাফিক চলছে সাপ্তাহিক হাট বাজার, থেকে নেই নির্মাণ কাজ। অনেক স্থানে উৎসাহী মানুষ বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে পাড়া/মহল্লায় ঢোকার পথ বন্ধ রেখেছেন। যেন করোনা বাংলাদেশের শুরু ঢাকা, চট্রগ্রাম আর নারায়ণগঞ্জের সমস্যা। তবে বিকেল ৫টার পর থেকে মানুষকে ঘরে রাখার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে তোড়জোড় শুরু করা হচ্ছে। তবে কি বিকেল ৫টার পূর্বে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি নেই এমনও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
সরেজমিনে শনিবার সকালে পত্নীতলা উপজেলা সদর নজিপুর পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লা ঘুরে দেখা গেছে দোচাই মোড়ের হাসপাতাল রোড, হরিরামপুর মোড়ের কারিগরি কলেজ রোডে স্থানীয় জনতা বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছেন। সেখানে শোভা পাচ্ছে প্রবেশ নিষেধ। মাছ বাজার, সবজি বাজারে দেখা গেছে মানুষের জটলা, রাস্তায় স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করেছে ভ্যান, ইজিবাইক ও মোটর সাইকেল। পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ কাজ করতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয় খোদ উপজেলা চত্বরে মসজিদ নির্মাণ কাজ অব্যাহতভাবে চলতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় কয়েকজন সুধীজন জানান, আমরা অসচেতন জাতি। করোনার ভয়াবহুতা আমরা মানুষকে বোঝাতে পারছি না। করোনায় বিশে^র তান্ডব মানুষ উপলব্ধি করতে পারছে না। এটা সত্যিই দুঃখজনক। দিনের বেলায় রাস্তার লোকসমাগম, যান চলাচল ও হাটবাজার বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার জন্য তাঁরা অনুরোধ জানান। শুধু সন্ধ্যার পরেই নয় দিনব্যাপি মানুষ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এখনই প্রশাসনকে কঠোর হওয়া দরকার বলেও তাঁরা মতদেন।