বাউফলে করোনা ভাইরাস সংক্রামন ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই লেনদেন চলছে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোতে। অন্যদিকে শহরের প্রাণকেন্দ্রের হার্ডওয়ার কসমেকিটস ও চায়ের দোকনগুলো খোলা রেখে চলছে বেচাকেনা।
রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় জনতা, অগ্রনী ও ফার্স সিকিউরিটি ব্যাংকগুলোতে নেই সামাজিক দূরত্ব। ফলে কোভিট-১৯ সংক্রামক বাউফলে ছাড়ানোর আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। অপরদিকে সামাজিক দূরত্বের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের তেমন কোন জোরালো পদক্ষেপও দেখা যাচ্ছেনা। পৌরসভাসহ ১৬টি ইউনিয়নের ছোট বড় হাটবাজার গুলোতে করোনা সংক্রামক এড়াতে সরকার মোদি মনোহরি, ঔষধ, ফায়ার সার্ভিস এবং জরুরী খাদ্য সরবরাহকৃত যানবাহন চলাচলে নির্দেশনা দিলেও এ উপজেলায় চলছে ভিন্নরুপ। ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলো নীয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই চালাচ্ছে কেনা-বেচা। পৌর শহরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের নির্মলের কসমেটিক, দালাল মার্কেটের আনোয়ারের কসমেটিক, পোস্ট অফিসের সামনে বানিজ্য কসমেটিক, বাজারের মধ্যে হার্ডওয়ারের দোকান, আল ফাহাদ কসমেটিকসহ হাসপাতাল রোডের জাবির ডায়াগনিস্টিক এর পাশে দুটি চায়ের দোকান ও কুন্ডপট্টি কাশারির দোকানের সাটার চাপিয়ে সকাল থেকে দুপুর অবদি চলে কেনাবেচা। এ ছাড়া নওমালা ইউপির নয়ারহাট, নগরের হাট বাজার, বাউফল ইউপির হোসনাবাদ বাজার, কালিশুরি, কালাইয়া, বগা, কাছিপাড়া ইউপির বাজারগুলোতে রেস্টুরেন্টসহ চলছে চায়ের দোকনে কেনাবেচা। ঢাকা, চট্রগাম, নারায়ণগঞ্জ এলাকার লোকজনগুলো এলাকায় এসে অবাধে ঘোরাফেরা করছে। দূরত্ব বজায় রাখতে ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন পৌর শহরের কাঁচা বাজারটি অস্থায়ি ভাবে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে সরিয়ে নিয়েছেন। সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে জনতা ব্যাংক ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম সবুজ বলেন, সপ্তাহের প্রথম দিন একটু ভীর হয়েছে। এরপর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কাজ করা হবে।