মণিরামপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমান উপজেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান মিজান অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন দেশের সংকটাপন্ন মুহূর্তে। তিনি প্রতিদিন তার নিজ ১৫নং কুলটিয়া ইউনিয়নের গরিব, অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের আত্মমানবতার সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োজিত করে চলেছেন। সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের মহামারি দেখা দেয়ায় মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় মণিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাড়িতে অবস্থান করা ভ্যানচালক, দিনমজুর, গরিব, অসহায়, দুঃস্থসহ নিন্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন অসহায়ত্ব ভাবে জীবন যাপন করেছেন।
সরকারি ভাবে ইউনিয়টিতে বরাদ্দ দিলেও তার পরিমান খুবই অপ্রতুল। ৯টি ওয়ার্ডের ১৭টি গ্রামে যে পরিমাণ সহয়তা করা হয়েছে তাতে একটি গ্রামে মাত্র ৮ থেকে ১০টি পরিবার এ সহয়তার আওতায় এসেছে। তাতেও আবার দলীয় ভিত্তিক দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। বাকি পরিবারের লোকজন খুবই মানবেত জীবন যাপন করেছেন। এমতাবস্থায় উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানের একান্ত প্রচেষ্টায় এবং সাবেক জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও বর্তমান কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের প্রভাবশালী নেতা মোঃ ইফতেখার সেলিম অগ্নির সহযোগীতায় ইউনিয়নটিতে ৫’শতাধিক পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ ও সাবানসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান প্রতিবেদককে জানায়, আমার সারা জীবনের সখ গরিব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োজিত করা। মানুষের বিপদে-আপাদে সহযোগীতা করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করি। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশের সংকটাপন্ন অবস্থায় আমি যেটুকু পারছি গরিব, অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছি। এমনকি আমার পক্ষ থেকে ত্রাণ সহযোগীতা অব্যহত থাকবে। এক প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান বলেন, ইউনিয়টিতে সরকারিভাবে যে বরাদ্দ দিয়েছেন তাতে আওয়ামী লীগ দলীয় লোকজন দিয়ে দলীয় ভিত্তিক তালিকা তৈরি করে খাদ্র সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ নিয়ে ইউনিয়নের অনেক অসহায়-গরিব পরিবার হতাশায় রয়েছেন। তবে আমি আশা করছি পরবর্তীতে দলমত নির্বিশেষে তালিকা তৈরি করে খাদ্র সামগ্রী বিতরণ করা হবে।