অবশেষে উৎপাদনে গেল পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মিত দেশের প্রথম কয়লা ভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। আজ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুত বানিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হওয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশের নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী এবং চায়নার ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন যৌথভাবে ২০১৬ সালে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধানখালীতে এক হাজার দুই একর জমির উপর শুরু করে দেশের প্রথম কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রর র্নিমান কাজ। প্রায় আট হাজার চাইনিজ ও দেশী র্নিমান শ্রমিকসহ কর্মকর্তাদের বিরতীহীন শ্রমে পায়রা বন্দরে আমদানীকৃত কয়লার মাধ্যমে ইতোমধ্যেই পরীক্ষামুলক উৎপাদন শুরু করেছে প্লান্টের প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
বিসিপিসিএল নির্বাহী প্রকৌশলী রেজোয়ান ইকবাল খান জানিয়েছেন, ১৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ডবল সার্কিটের হাই ভোল্টেজ লাইনের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর উপজেলায় নির্মিত ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে ফেব্রুয়ারী মাসে বানিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হবে এ বিদ্যুৎ।
বিসিপিসিএল জুনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শাহ মইন জিকো বলেন, নদী থেকে সংগৃহীত ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত পানির ব্যবহারের পরিমান অনেক কম হবে বলেই, পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে দেশের প্রথম পরিবেশ বান্ধব ও জনহিতকর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
বিসিপিসিএল প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক শাহ আবদুল মওলা জানিয়েছেন, নাব্যতা সংকটের কারনে পায়রা বিদ্যুত কেন্দ্রের চাহিদা মাফিক কয়লা সরবরাহ করতে পারছে না মাদার ভ্যাসেল জাহাজগুলো। ফলে, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ পুরন করতে পারছে না বিদ্যুত উৎপাদনে কয়লার চাহিদা। যা নিয়ে চিন্তিত পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
এ বৃহৎ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজ ২০২২ সাল নাগাদ শেষ হলে, পর্যায়ক্রমে পরিবেশ বান্ধব সুপার আলট্্রা টেকনোলজি সম্পন্ন এ প্লান্ট থেকে জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হবে কয়লা, নির্গত ধোঁয়া ও বায়ো ভিত্তিক উৎপাদিত ২৬৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, উৎপাদিত বিদ্যুত দেশের চাহিদা মিটিয়ে বানিজ্যিকভাবে ছড়িয়ে পড়বে বিদেশের মাটিতেও।