নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ২নং কেশারপাড় ইউনিয়নের উন্দানিয়া গ্রামে জ্বর,শর্দি,কাশি,ভুমি ও শ্বাসকষ্টে আলী আক্কাস (৪৫) নামের ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। এবং একই ইউনিয়নের মজিরখিল গ্রামের মজুমদার বাড়িতে জ্বর,শর্দি,কাশি ও শ্বাস কষ্টে আক্রান্ত ফজলুল হক (৫৫)নামের এক ব্যাক্তিকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে সেনবাগ সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম মজুমদারের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন তাকে উদ্ধার করে রোববার দুপুরে সেনবাগ উপজেলা সরকারি হাসপাতালে আইসোলেন ইউনিটে ভর্তি করিয়েছেন। সোমবার (১৩ এপ্রিল) উভয়ের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে বিআইটিএ প্রেরণ করা হয়েছে। ওই দুই ঘটনায় পুরো এলাকায় লোকজনের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নিহত আলী আক্কাস উন্দানিয়া গ্রামের আবদুল গোফরানের ছেলে। রোববার রাত ১১টারদিকে নিজ বাড়ির মারা যায় সে। খবর পেয়ে সেনবাগ থানার এসআই তারেকুল রহমানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরহাল রিপোর্ট তৈরী করে ওই বাড়িতেই রেখে দেন। সকালে তার করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হবে। তার মৃত্যুর পর লাশ পেলে বাড়ির সকলে পালিয়ে যায়। শুধু মা লাশ পাহারা দিচ্ছে। নিশ্চিত করেছের এসআই তারেকুর রহমান।
এদিকে হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ ফজলুল হকের স্ত্রী এক ছেলে, চার মেয়েকে ১৫ দিনের জন্য হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন এবং পরিবারকে ১৫ দিনের জন্য সরকারী খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন।
মজিরখিল গ্রামের সেকান্তর আলীর ছেলে ফজলুল হক কয়েকদিন আগে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে সেনবাগে তার নিজ গ্রামের বাড়িতে এসে জ্বর,শর্দি,কাশি ও শ্বাস কষ্টে আক্রান্ত হন। খবর পেয়ে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম মজুমদার ঘটনাস্থল পৌছে তাকে উদ্ধার করে এবং কেশারপাড় ইউনিয়নের মজিরখিল মজুমদার বাড়ি সহ ওই গ্রামের ২২টি বাড়ি লকডাউন ঘোষনা করেছে
রোববার দুপুর ১টার দিকে তিনি ওই লকডাউন ঘোষনা করেন এলাকায় পাহার বসান যাবে কেঊ ও গ্রাম থেকে বাহিরে যেতে ও কেউ বিতরে ডুকতে না পারে।
একই সঙ্গে তিনি সেনবাগ সরকারি মডের প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠানিক অস্থায়ী কোয়ারান্টাই কেন্দ্র হিসাবে ঘোষনা করে। ফজলুল হককে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে এলাকায় করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে।