নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সচেতনতা সৃষ্ঠির লক্ষে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে সচেতন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) নিয়োজিত থাকায় গ্রাম এলাকার মহিলা, গর্ভবতী মা, প্রসূতি ও নবজাতক সহ হত দরিদ্র মানুষ গুলো নিরাপদে বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা গ্রহন করছে।
সাপাহার উপজেলায় ১৭ টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। বর্তমানে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারন করেছে। প্রত্যন্ত এলাকা সমুহে এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সচল থাকায় মানুষ সহজে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে। সরজমিনে উপজেলার গোপালপুর কমিউিনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা গেছে, মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রোগীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ক্লিনিকের দরজার বাইরে রোগীদের হাত ধোয়ার জন্য সাবান ও পানি রাখা হয়েছে। আগত রোগীগণ তাদের হাত পরিস্কার করার পর সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছে। দায়িত্বে নিয়োজিত প্রোভাইডার জাহাঙ্গীর আলম সদা হাস্যজ্জল ভাবে রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা ও ওষুধ প্রদান করছেন। গোপাল পুর কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রোভাইডার জাহাঙ্গীর আলম জানান, এখানে সেবা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে সাধারণত মহিলা, গর্ভবতী মা, প্রসূতি মা ও নবজাতকের সংখ্যা বেশি। প্রতিদিন গড়ে ৬০-৭০ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। প্রতি মাসের জন্য ওই ক্লিনিকে ৩০ প্রকার ওষুধ সরবরাহ দেয়া হয়।
ওই ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা সোনাডাংগা গ্রামের রোগী হাজেরা বিবি জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্নেক্সে চিকিৎসা নিতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করতে হচ্ছে। সাধারণ জ্বর সর্দি কাশির জন্য বাড়ীর পাশের ওই কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে তিনি সহজে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন। প্রোভাইডার জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার বিন্যাকুড়ি কমিউনিটি ক্লিনিকে ও অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন তিনি সেখানেও আন্তরিকতার সাথে অনুরুপ ভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। বিশেষ করে করোনা ভাইরাস বিষয়ে গ্রামের মানুষকে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো থেকে যথেষ্ট সচেতনতা সৃষ্ঠি করা হচ্ছে।
সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মুহা রুহুল আমীন জানান, উপজেলায় মোট ১৭ টি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে উপজেলার সকল কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোর দায়িত্বে নিয়োজিত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারগণ (সিএইচসিপি) হতদরিদ্র মানুষ গুলোর জন্য বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্ঠির ক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা রাখছে।