কুয়াকাটা পৌরসভার কার্ডধারী ভিজিএফএর চাল সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৫৩০ জন। চালও দুই দফায় দেয়া হয়েছে সকলকে। তারপরও ২২ জেলের চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল বারেক মোল্লাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার কুরুচিকর মন্তব্য এবং বিষোদগার ছড়ানোকে কেন্দ্র করে তোলপাড় চলছে। কুয়াকাটা পৌরসভার ১০জন কাউন্সিলরের পরে এবারে কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদে নেমেছেন। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মনির আহম্মেদ ভুইয়াসহ পাঁচজন সহসভাপতি যৌথভাবে লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও তদারকি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে যথাযথভাবে পৌর এলাকার ৫৩০ জেলে পরিবারকে বিশেষ ভিজিএফএর চাল বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০৮ জেলেকে ৬ এপ্রিল এবং বাকি ২২ জেলেকে ৭ এপ্রিল বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণের প্রথম দিন ২২ জেলে সাগরে অবস্থান করায় চাল দেয়া যায়নি। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল বারেক মোল্লাকে জড়িয়ে এক ধরনের নোংরা অপপ্রচার করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন। লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পৌরমেয়র আবদুল বারেক মোল্লা ভিজিএফএর চাল উত্তোলন কিংবা বিতরনের কোন দায়িত্বে ছিলেন না। পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৈয়বুর রহমান ও কাউন্সিলর আবুল হোসেন ফরাজি এসব চাল বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন। তারপরও আগামী বছরে পৌরসভার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি বিরোধীমহল আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের জন্য গভীর ষড়যন্ত্রমূলক এমনসব অপপ্রচারে নেমেছে। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ লিখিত বক্তব্য প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের অবগত করেছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, আবদুল বারেক মোল্লা প্রথমে লতাচাপলীর ইউপি মেম্বার, এক যুগের মতো ইউপি চেয়ারম্যান, এরপরে কুয়াকাটা পৌরসভার কাউন্সিলর, পরে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নে, কুয়াকাটার উন্নয়নে ইর্ষাণি¦ত হয়ে একটি মহল কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে।