করোনা ভাইরাস সন্দেহে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলার আসামী সুজন ওরফে শাকিল হ্যান্ডকাপ পরিহিত অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি থেকে জানালার গ্রীল ভেঙ্গে পালিয়েছে। রোববার ১২ এপ্রিল রাত পৌনে ১০টায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ আটকের জন্য অভিযান শুরু করেছে। পালিয়ে যাওয়া আসামি সুজন (২৫) ওরফে শাকিল যশোর শহরের বারান্দী মোল্যাপাড়া আমতলা হাসান মহুরীর বাড়ির ভাড়াটিয়া ও রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর কাজীপাড়া মল্লিক বাড়ির রঞ্জিত মল্লিকের ছেলে। শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া আজিজ সিটির ভাড়াটিয়া জিয়াউর রহমানের মেয়ে সানজিদা ইয়াসমিন চুমকিকে গত ৪ এপ্রিল অপহরণ মামলার আসামী।
হাসপাতাল ও পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ সুজন মল্লিক ওরফে শাকিলকে ১০ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যায়। এসময় তার শরীরে জ¦র, সর্দি, কাশি দেখা দেয়ায় কারাগারের সহকারী সার্জন যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার তাকে ভর্তি করে আইসোলেশনে পাঠায়। যার মামলা নম্বর ২০, জিআর নম্বর ৩১২/২০। তার হাজতী নম্বর ২২৪৯/২০। হাসপাতালের আইসোলেশনে রোববার রাত ৮টা থেকে কারাগারের ৪জন রক্ষিদের সথে পুলিশের ল্যান্সনায়েক নাজমুল (নম্বর ১৬৮৬) এবং পুলিশ কনস্টেবল আসাদ (নং ২৩০৯)। তাদের সিসি নম্বর ৫১৯৮২০।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের আইসোলেশনের দায়িত্বরত নার্স তুলি রাত ৯টায় আসামি সুজন মল্লিক ওরফে শাকিলকে পানি দেয়। এরপর রাত পৌনে ১০টায় তাকে খাবার দিতে গেলে দরজা ভিতর লক করা দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের জানায়। এসময় তারা দরজা খোলার চেষ্টা করে না পেরে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে তাকে খুঁজে পায়না। এসময় পিছনের জানালার গ্রীল ভাঙ্গা দেখতে পায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতাল ও পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়।যশোর কোতয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলমসহ পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ, হাসপাতাল ও কারাকর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান হাসপাতালের আইনসোলেশনের আসামি সুজন পালিয়ে গেছেন বলে স্বীকার করেছেন। আসামী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় জেলার বাদী হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় সুজন মল্লিক ওরফে শাকিলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ২৭ তারিখঃ১২/০৪/২০ ধারা ২২৪ পেনাল কোড।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুল ইসলাম আসামি পালিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করে বলেছেন, তাকে আটকের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।