পটুয়াখালীর দুমকিতে করোনা আক্রান্ত নারীকে আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে দুমকীর বাড়ী থেকে পটুয়াখালীর ৫০ শয্যার আইসোলেশেন ইউনিটে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ছাড়াও ওই বাড়ীর অবশিষ্ঠ ৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরআগে গত ৯ এপ্রিল নারায়নগঞ্জ থেকে আসা এক ব্যাক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় ওই বাড়ীর ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের মধ্যে রবিবার এই নারীর রিপোর্ট পজেটিভ আসলে তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেয়া হয়। সোমরার বিকেলে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আইসোলেশনে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, পটুয়াখালী নদী বন্দরে ঢাকাগামী ডাবল ডেকার এ আর খান লঞ্চটিকে ভাসমান কোয়ারেন্টাইন ইউনিট হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী এই ভাসমান কোয়ারেন্টাইন ইউনিটের উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি লঞ্চটি ব্যাবহার করার অনুমতি দেয়ায় মালিক পক্ষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এদিকে, করোনার উপসর্গ নিয়ে বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মহাশ্রাদ্ধি গ্রামের মন্নান চৌকিদারের বাড়ি বেড়াতে আসা নাসির মোল্লা (৪০) নামের এক যুবক জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে গতকাল সোমবার ভোর রাতে মারা গেছে।
এ ঘটনায় বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা এবং বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন জানিয়েছেন, মৃতের এবং তার সংস্পর্শে আসা স্বজনদের স্যাম্পল নিয়ে পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। গ্রামটিকে লকডাউন ঘোষনা করা না হলেও সকল মানুষকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।