নিয়ামতপুরে একটি লিজকৃত পুকুরের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে পূর্বশত্রুতার জেরে এক সংঘর্ষে দু মৎসচাষী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাতে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের জোনাকি গ্রামে। আহতরা হলেন জোনাকী গ্রামের মোজাম্মেল দেওয়ানের ছেলে সোহেল রানা (৩৪) ও তার ভগ্নিপতি মৃত ছবের আলীর ছেলে জিল্লুর রহমান (৪০)।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সোহেল রানা নাকইল মৌজায় মৎস চাষের জন্য (জেএল নং-৩২০, খতিয়ান নং-৩০০, দাগ নং-১৫১৬) প্রায় দেড় একর পরিমাপের একটি পুকুর গত বছরের নভেম্বর মাসে পুকুর মালিক পক্ষের নিকট থেকে তিন বছরের জন্য লীজ গ্রহন করে মৎস চাষ শুরু করে। কিন্তু পুকুর পাড়ে বসবাসরত কিছু দুসকৃতকারী লোকজন প্রায় রাতের অন্ধকারে তার পুকুর থেকে মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে পুকুর পাড়ের বাসিন্দাদের সাথে প্রায় বিবাদ হত সোহেলের।
আহত মৎস চাষী সোহেল জানান, “মাঝে মধ্যেই পুকুর থেকে মাছ চুরির কিছু নমুনা দেখতে পায় পুকুরে। ঘটনার দিন শনিবারও সকালে পুকুরে গিয়ে দেখি পুকুর পাড়ের কালুর বাড়ীর সামনের পোতা বাঁশ ও খুটি নেই। বিষয়টি নিয়ে কালুর কাছে জানতে গেলে কথা কাটাকাটি হয় তার সাথে। ওইদিন রাতেই আবার ভগ্নিপতি জিল্লুরকে সাথে নিয়ে পুকুর দেখতে গেলে ওৎ পেতে থাকা পুকুর পাড়ের বাসিন্দা কুদোর ছেলে বাবলু (৩২), শরিয়তের ছেলে কুদো (৬০), ময়েজের ছেলে লিটন (৩০) ও তছিরের ছেলে মেরাজুল (৪০) আকষ্মিক আমাদের ওপর হামলা করে এবং বেধড়ক মারপিট করে। এতে আমরা গুরুতর জখম হই। এ সময় আমার কাছে থাকা ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয় হামলা কারীরা। আমাদের আতœচিৎকারে পাড়া প্রতিবেশিরা ছুটে এসে আমাদের উদ্ধার করে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে আমি বাদী হয়ে সোমবার থানায় লিখিত অভিযোগ করি।”
এ ঘটনায় ওসি হুমায়ন কবীর জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।