রাজশাহীর ২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের পর জেলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক হামিদুল হক মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে করোনা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তাই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ রাজশাহীসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আসছে। ইতোমধ্যে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা দুই ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লকডাউন বলবৎ থাকবে। জেলার পাশাপাশি বাঘা উপজেলা লকডাউন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ইউএনও শাহিন রেজা।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, দেশে ধীরে ধীরে করোনার রোগী বাড়ছে। তাই বাড়তি সতর্কতা হিসেবে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বাঘা উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ লকডাউনে সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে। এক এলাকা থেকে আরেক এলাকার যোগাযোগও বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষিপণ্য-খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও সংগ্রহ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ব্যাংকিং সেবা, মোবাইল ব্যাংকিং, ওষুধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন ও কর্মী লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। জনস্বার্থে মেনে নিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান এবং সকলকে বাড়ির বাইরে না গিয়ে ঘরে থাকার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও নানা কৌশলে রাজশাহীসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আসছেন মানুষ। এরই মধ্যে ঢাকা থেকে পুঠিয়া ও বাড়মারায় দুই ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।