পাবনার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে চাল লুটের অপচেষ্টার অভিযোগে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৩ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কুয়াবাসী গ্রামের আমিরুল ইসলাম,ইউনিয়ন যুবলীগৈর সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ও ভ্যানচালক ফরিদ আলী। ফৈলজানা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ উদ্দিন মঙ্গলবার চাটমোহর থানায় ২০জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
উল্লেখ্য,ফৈলজানা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে (কুয়াবাসী) এলাকাবাসী গত ১৩ এপ্রিল ত্রাণের জন্য তুলকালাম কান্ড ঘটিয়েছে। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধাওয়া,পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের একটি মোটরসাইকেল ভাঙ্চুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইকতেখারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
ফৈলজানা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ উদ্দিন অভিযোগ করেন,সোমবার (১৩ এপ্রিল) তার ইউনিয়নের ২৪৯ জন ভিজিডি কার্ডধারী দুস্থদের মধ্যে মাসিক কিস্তির চাল বিতরণের দিন ধার্য করা হয়। সকাল ৯টার মধ্যে ভিজিডি কার্ডধারীরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে সমবেত হন। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের পাশে কুয়াবাসী বাজারে ফরিদ আলীর ভ্যানযোগে প্রচার হয় ত্রাণ বিতরণ করা হবে। মাইকিং শুনে কয়েকশ’ মানুষ সেখানে সমবেত হন। তাদের দেখে পরিষদের গুদামের গেট তালাবদ্ধ করা হয়। খবর পেয়ে শরৎগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম রসুলের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে এনে তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন। এ সময় লোকজন বিক্ষোভ করে পরিষদের ভেতর গিয়ে চাউল লুট করার চেষ্টা করে। বিক্ষোভকারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম রসুলের মোটর সাইকেলটি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে চাটমোহরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইকতেখারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের বিষয়টি বুঝিয়ে নিবৃত করেন। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন,তার প্রতিপক্ষরাই এই ঘটনা ঘটিয়ে সরকারের সুনামকে ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালায়। ইউপি চেয়ারম্যান আরো অভিযোগ করেন,কতিপয় ব্যক্তির গোপন বৈঠকের পর চাল লুটের পরিকল্পনা করা হয়। তিনি বলেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা মোতাবেক থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আজাদ হোসেন বলেছেন,চাল লুটের চেষ্টার অভিযোগ সাজানো। তারা নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের শিকার। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন দ্বারা হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। এ ব্যাপারে ১৩ এপ্রিল একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।