পটুয়াখালীর বাউফলের কাছিপাড়ার মান্দারবন এলাকার দুইপক্ষের বিরোধের জেরে সংঘর্ষে গুরুতর জখম সাফিয়া বেগম( ৬০) নামে একমহিলা আজ পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
স্থানীয় সূত্রে যায়, ঐ এলাকার প্রাক্তন মেম্বার শাহীন গাজীর সাথে বর্তমান মেম্বার খোকনের হাওলদারের সাথে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব থেকেই বিরোধ ছিল। গত ১২ মার্চ শাহীন মেম্বারের চাচাতো ভাই মেহেদী হাসান রাজুকে স্থানীয় জনগন ইয়াবা সহ আটক করে । পরবর্তিতে বর্তমান মেম্বার খোকন হাওলাদার পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ এসে রাজুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় । এদিকে গতকাল সকালে খোকন মেম্বার ত্রান বিতরনের তালিকা করতে সাহিনের বাড়ীর এলাকায় গেলে সেখানে শাহিনদের বাড়ীর লোকজনদের সাথে কথাকাটি হয় ও ঝগড়া হয়। এসময় সাহিনরে বাড়ীর লোকজন খোকন মেম্বারকে ধাওয়া দিলে সে সেখান থেকে চলে যায়।পরবর্তীতে খোকন তার বাড়ীর লোকজন নিয়ে সাহিনদের বাড়ীর কাছে গেলে সাহিন মেম্বারদের পরিবারের পুরুষ ,মহিলা সবাই সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে ,এসময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৭/৮ জন আহত হয়। সংঘর্ষে গ্রেফতারকৃত রাজুর পিতা চুন্নু গাজী,স্ত্রী ফারজানা মীম,বোন শারমীন নীপা ,শাহিন গাজী এবং শাহীন গাজীর মা সাফিয়া বেগম গুরুতর জখম হয়। অপরদিকে খোকন মেম্বারের পক্ষে জয়,হেলাল,ছিদ্দিক,,মাহফুজ আঘাত প্রাপ্ত হয় বলে উভয় পক্ষ দাবী করে । এ দিকে হামলা চলাকালে খোকন মেম্বারের পক্ষের লোকজনের লাঠির আঘাতে মাথায় গুরুতর জখম সাফিয়া বেগমকে প্রথমে বাউফল উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হয়,সেখান থেকে তাকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গতকাল বিকেল ভর্তি করা হয়। আজ ভোর রাতে সাফিয়া বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে ,মৃত সাফিয়া বেগম মাথায় আঘাত নিয়ে গতকাল ভর্তি হয়েছিল।
শাহিন জানায়, বাউফল থানা পুলিশ পোস্ট মর্টেমের পরে মামলা নিবেন বলে তাকে জানিয়েছেন, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পোস্ট মর্টেম চলছে পটুয়াখালী মর্গে ।এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি(তদন্ত) আল মামুন জানান,শাহিন আমাদের কাছে এসেছিল , আমরা এ বিষয়ে কিছু জানিনা ,চিকিৎসাধীন অবস্থায় পটুয়াখালী হাসপাতালে মারা গিয়েছে বলে শাহিন আমাদেরকে জানিয়েছে পোস্ট মর্টেমের পরে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।