পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নের এক মহিলা ইউপি সদস্যকে বাড়িতে সরকারি বরাদ্দের চাউল রাখার অপরাধে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নে এঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে।
কেশবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন খান লাভলু জানান, করোনা উপলক্ষে প্রাপ্ত জিআর তহবিলের চার মেট্রিকটন চাউল বর্তমান প্রেক্ষাপটে এক জায়গায় বসে বিতরন না সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে বিতরন করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্দেশনা দেন। সে মোতাবেক বুধবার সকালে সকল মেম্বরদের মাঝে ৩০ কেজি ওজনের সারে সাত বস্তা করে চাউল ভাগ করে দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক মেম্বর ২৫ জন হত দরিদ্র পরিবারের মধ্যে ওই চাউল বিতরনের কথা রয়েছে। আমার জানামতে চাল বিক্রির ঘটনা সত্য নয়।
অভিযুক্ত কেশবপুর ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য লিপি আক্তারের বক্তব্য জানার অনুমতি চাইলে বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আসামীর বক্তব্য নেয়া যাবে না। লিপি আক্তারের স্বামী মো: কবির হোসেন জানান, নির্দেশনা মোতাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন তার বাড়ির বৈঠক খানায় বসে ৩নং ওয়ার্ডের ৯জনের মধ্যে বন্টন করে বাকি চার বস্তা চাউল বিকেলে ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের ১৬জনের মধ্যে বিতরনের কথা ছিল। এ সময় কোন অপরাধে আমার স্ত্রী লিপি আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা আমার জানা নেই।
সরেজমিনে বাজেমহল গ্রামের রিপন মুন্সীর স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম জানান , তিনি ১০কেজি চাল পেয়েছেন। এলাকার আরো অনেকে নিয়েছেন। মেম্বরের বিরুদ্বে এটা ষড়যন্ত্র। তিনি বাড়িতে বসে চাল বিতরন করছেন, এটা সত্য। আইনে কি আছে তা আমার জানা নাই।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আনিচুর রহমান বালি জানান, করোনায় খাদ্রসহায়তার চাউল বাড়ি বসে বিক্রি করছেন এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি সদস্য লিপি আক্তারের বৈঠক খানা থেকে চার বস্তা চাউল ৩টি খালি বস্তা সহ ইউপি সদস্য লিপি আক্তারকে আটক করে বাউফল নিয়ে আসেন এবং পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে বিনাশ্রম এক মাসের জেল হাজত দেন।