যশোরে মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমদ রাসেলকে কুপিয়ে খুন করেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এ সময় তার ভাই আল আমিন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে যশোর সদর উপজেলার ভেকুটিয়ার শ্মশান পাড়ায় এঘটনা ঘটে। হতাহতরা একই গ্রামের আবদুল সালেক আলীর ছেলে।
নিহত ও আহতর পিতা আবদুল সালেক জানান, যুবলীগের একটি গ্রুপ এলাকায় মাদক ব্যবসা করে। সাব্বির বিভিন্ন সময় তাদেরকে বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার রাতে স্থানীয় পিচ্চি বাবু, শামিরুল, সোহাগসহ আরো ১০/১২ জন শ্মশান পাড়ায় দুই ভাইকে কুপিয়ে জখম করে। হত্যাকান্ডের পূর্বে যুবলীগ যুগ্ন আহব্বায়ক শহীদ এর বাড়িতে মিটিং হয়। পরে বাড়িতে তিন দিন হামলা করার এক পর্যায় ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়। পরে স্থানীয়রা দুই ভাইকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেলকে মৃত বলে ঘোষনা করে।সহোদর আল আমিন চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থাও সঙ্কটাপন্ন। আরবপুর ইউনিয়ানের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক শাহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন পূর্ব শত্রুতার জেরধরে এই হত্যা কান্ড ঘটে। ছেলেটি দলের একজন নিবেদিত কমি।৷ তার পিতার ভাস্য অনুযায়ী সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহব্বায়ক শহিদের বাড়িতে মিটিং হওয়ার পরে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। তিনি আরো জানান, মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই চক্রটি এর আগে ২০১৯ সালের ১২ জুন রাসেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে বোমা হামলা চালায়। সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক শহীদের মোবাইলে একাধিক ফোন করলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যাওয়ায় শহীদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,সাব্বির আহমদ রাসেলকে রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার কারণে কুপিয়ে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি আরো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন ঘটনা স্থল থেকে একটি পরিত্যাক্ত মটর সাইকেল পাওয়া গেছে যার কোন মালিক মেলেনি। হত্যাকান্ডের ঘটনায় কোন আসামি আটক করা সম্ভাব হয়নি। আটকের অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।