ভারত থেকে আগত যশোর জেনারেল হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা আলমগীর কবিরের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৬ এপ্রিল সকাল ৭টায় তার মৃত্যু হয়। সে যশোরের চৌগাছা উপজেলার স্বরূপদাহ গ্রামের আনারুল হকের ছেলে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আলমগীর কবির কিডনির সমস্যার কারণে ইতঃপূর্বে ভারতে যায়। সেখানে লকডাউনের আগে গত ১০ এপ্রিল বাংলাদেশে চলে আসেন। এরপর তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টইনে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকার ৭টায় ইন্টার্নি চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেবাশিষ সাংবাদিকদের জানান, আলমগীর কবির কিডনির চিকিৎসা করানোর জন্য ভারতে যান। সেখানে থেকে ফেরার পর হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তার কিডনির ডায়ালাইসিস্ করানোর কথা ছিল। তার আগেই তার মৃত্যু হয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালে ভর্তি করার পর আলমগীর কবিরের করোনার স্যাম্পল পাঠানো হয়। বুধবার তার রিপোর্ট এসেছে। কিন্তু রিপোর্টে করোনার নেগেটিভ এসেছে। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হলে তার স্ত্রী সানজিদা লাশ বুঝে নিয়ে চলে গেছেন।