করোনা ভাইরাসের ভয়ে মানুষ যখন ঘরে আটকা রয়েছে। ঠিক তখনই কসবায় ১২০ বছরের পুরানো একটি সরকারি বিদ্যালয়ের পুকুর খননের নামে চলছে মাটি বিক্রির মহোউৎসব। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত প্রতি ট্রাক মাটির দাম এক হাজার টাকা করে গত এক সপ্তাহ ধরে বিক্রী করে নিজেরা টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কসবা উপজেলা সদরে ১৮৯৯ সনে কসবা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই বিদ্যালয়ের দুটি পুকুর রয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ওই পুকুর দুটি খনন করে পাড় বাঁধানো এবং ঘাটলা নির্মাণ করতে দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিযুক্ত করেছেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পুকুর খনন ও পাড় বাধাঁর কাজ করছেন।
এদিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গত এক সপ্তাহ ধরে পুকুর খননের মাটি ভেকু দিয়ে কেটে প্রতি ট্রাক হিসেবে মাটি বিক্রি করছেন। প্রতি ট্রাক মাটির মূল্য এক হাজার টাকা।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শরীফ মুন্সীর উপস্থিতি ট্রাক্টর দিয়ে মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে। ওই মাটি শীতলপাড়া এলাকার একটি মসজীদের পুকুর এবং সংলগ্ন একটি জমি ভরাট করা হয়েছে। এ ছাড়াও আরো বেশ কয়েক স্থানে ট্রাক দিয়ে মাটি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
সহকারী শিক্ষক মো. শরীফ মুন্সী বলেন, মসজীদের পুকুর ভরাটের কিছু মাটি নিয়েছেন। তাছাড়া অন্য একজন ১০ ট্রাক মাটি নিয়েছেন। ওই মাটির বিনিময়ে মাঠের কিছু অংশ ভরাট করে দিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুরুন নাহার বেগম দাবী করছেন তিনি মাটি বিক্রি করেননি। মসজীদের জন্য কিছু মাটি নিয়েছেন। তাছাড়া ওই মাটির বিনিময়ে মাঠ ভরাটের কিছু কাজ করেছেন।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম বলেন, সরকারি বিদ্যালয়ের মাটি বিক্রি করার বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
শিক্ষা অধিদপ্তরের কুমিল্লা অঞ্চলের উপপরিচালক রোকসানা মজুমদার বলেন, সরকারি বিদ্যালয়ের পুকুরের মাটি বিক্রি করার কোন নিয়ম নেই। যদি প্রধান শিক্ষক এ ধরনের কাজে জড়িত থাকে খোজঁ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।