হতদরিদ্রদের ঘরের দরজায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে নড়াইল জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ। শনিবার (১৮ এপ্রিল) রাত থেকেই এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলবে কয়েকদিন ধরে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০০ অসহায় পরিবারকে এ খাদ্যসামগ্রী দেয়া হচ্ছে। আর এ খাদ্যসামগ্রীকে ত্রাণ নয়, ‘উপহার’ হিসেবে বিতরণ করছেন স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা।
এ ব্যাপারে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের দপ্তর সম্পাদক ফিরোজ শেখ বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি। এ লক্ষ্যে প্রায় ২০জন নেতাকর্মীরা দিনরাত কাজ করছেন। আমাদের উপহারসামগ্রীর প্যাকেটের গায়ে লেখা হয়েছে-‘আর্ত মানবতার সেবায় আমরা। বিশ্ব মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার।’
জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ এস এম পলাশ বলেন, সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিজেদের টাকায় দুস্থ ও অসহায় এবং স্বেচ্ছসেবকলীগের ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে যারা অত্যন্ত দরিদ্র; তাদের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৩০০ খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং স্বেচ্ছসেবকলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আহবানে সাড়া দিয়ে করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগময় মুহূর্তে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। নেতাকর্মীরা রাতের আঁধারে অসহায় মানুষের ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। আমাদের এ কাজে সহযোগিতা করেছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা। আমাদের পক্ষ থেকে যাদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে, ছবি প্রকাশ করে তাদের ছোট করতে চাই না। পাশাপাশি সমাজের চিত্তবান ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতি বিনীত অনুরোধ সবাই করোনাযুদ্ধে এগিয়ে আসুন। আর এ খাদ্যসামগ্রীকে আমরা ত্রাণ হিসেবে বিবেচনা করতে চাই না। এটাকে ‘উপহার’ হিসেবে মূল্যায়ন করছি। পরবর্তীতেও আমাদের খাদ্যসহায়তা অব্যাহত থাকবে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন, নড়াইলে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী দেয়া হচ্ছে। তবুও অনেক অসহায় মানুষের কাছে এখনো খাদ্যসামগ্রী পৌঁছায়নি। যাদের কান্না চলছে নিরবে-নিভৃতে। আমাদের পক্ষ থেকে সেই সব অসহায় মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছি।