চরম র্দূদিনের মধ্যে দিন যাপন করছেন কেন্দুয়া উপজেলার ৮ শতাধিক অটো রিক্সা শ্রমিক। নেত্রকোণা জেলা লকডাউনের পর থেকে তারা একেবারেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাদের ঘরে নেই খাবার, পকেটে নেই টাকা। তাই অসম্ভব দুঃখ কষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন যাপন করছেন। কেন্দুয়া উপজেলা সদরের সাজিউড়া মোড় থেকে অর্ধ শতাধিক, চিরাং মোড় থেকে ৩ শতাধিক, বাসষ্ট্যান্ড থেকে ৩ শতাধিক, সাউদপাড়া ও দর্গামোড় থেকে ২ শতাধিক অটো রিক্সা প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে যাত্রী বহন করে চলাচল করত। কিন্তু করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন নেত্রকোণা জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করেন। এর পর থেকেই তারা রাস্তায় অটো রিক্সা নিয়ে বের হতে পারেননি। এর মধ্যে ২/৪/১০ জন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাস্তায় বের হলেও তারা ভয়ে ভয়ে যাত্রী নিয়ে চলাচল করেন। সোমবার দুপুরে এমদাদুল হক নামের এক অটো রিকসা চালককে গালে হাত দিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় সাজিউড়া বানিয়াগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের রাস্তায়, তার বাড়ি কেন্দুয়া পৌর এলাকার নল্লা গ্রামে। সে মৃত ইব্রাহিমের ছেলে। যাত্রী নেই তবু অপেক্ষায় বসে আছেন ১/২ জন যাত্রী আসলে এই যাত্রীকে নিয়ে তিনি কেন্দুয়ায় যাবেন। পাছহারুলিয়া গ্রামের একটি দুগ্ধবতী গাভীর খামার দেখে ফেরার পথে দেখা হলো এমদাদুলের সাথে। অটো রিক্সাতে উঠে তার কুশলাদি জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান, সাজিউড়া মোড় থেকে সাজিউড়া বাজার, বানিয়াগাতি, তেলিপাড়া বাজার ও মামুদপুর পর্যন্ত ৫০টির বেশি অটো রিকসা চলাচল করত। এখন আমরা সবাই বেকার। আজ আমি পেটের তাগিদে অটো রিকসা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। এ পর্যন্ত তারা কোন সরকারি সাহায্য পাননি। এমদাদ বলেন, আমাদের ঘরে খাবার থাকলে আমরা গাড়ি লইয়্যা রাস্তায় বাইরইতামনা। রাস্তায় গাড়ি লইয়্যা গেলে পুলিশ আমরারে বাইরায়। তাই অনেক ভয়ে ভয়ে রাস্তায় গাড়ি নিয়া বাইরইছি পেডের জ্বালায়। অটো রিক্সা চালকদের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-ইমরান রুহুল ইসলাম বলেন, অটো রিকসা চালকদের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। যদি আরো কেউ বাদ পড়ে থাকেন সেই তালিকা পেলে সেগুলিও চেয়ারম্যানদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে, চেয়ারম্যানগণ পর্যায়ক্রমে বিনামূল্যে সরকারি ত্রান তাদের মাঝে বিতরন করবেন।