নগরীতে অবস্থিত বরিশাল মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে মাদক বিক্রিকালে ছবি তোলায় এক সংবাদকর্মীকে অমানুষিক নির্যাতন করে ক্যামেরা ভাংচুর ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া এবং ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক মাদক আটকের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এ ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত অতিরিক্ত পরিচালকসহ ২৫ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বরিশাল কার্যালয় থেকে একযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান। তিনি জানান, প্রথমে বদলী করা হয় বরিশাল মাদক নিয়ন্ত্রন অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক এএএম হাফিজুর রহমানকে। গত শনিবার তিনি অফিসে থাকাকালীন তার অধীনস্ত কর্মচারীরা শতাধিক ক্রেতা জমায়েত করে মাদক বিক্রি করছিল। এ সময় ছবি তোলায় একজন টিভি চ্যানেলের ক্যামেরাপার্সনকে নির্মমভাবে প্রহার করে ক্যামেরা ভাংচুর ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে র্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমান মদ আটক করে। তখন অতিরিক্ত পরিচালককে অফিসেই পাওয়া যায়। এ কারণে সর্বপ্রথম অভিযুক্ত অতিরিক্ত পরিচালক হাফিজুর রহমানকে বদলী করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই মহাপরিচালকের পক্ষে উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মামুন স্বাক্ষরিত একপত্রে জেলার ২৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে একযোগে বদলী করা হয়। এদের মধ্যে দুইজন পরিদর্শক, চারজন উপ-পরিদর্শক, চারজন সহকারী পরিদর্শক, একজন উপ-সহকারী পরিদর্শক, ছয়জন সিপাহী, একজন হিসাবরক্ষক, দুইজন গাড়ি চালক, দুইজন অফিস সহকারী, একজন অফিস সহায়ক ও একজন ওয়ালেস অপারেটর রয়েছে।