নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় আরো ৩জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। সনাক্ত হওয়া তিনজনের বাড়ির সিলেটের হবিগঞ্জে। তারা সেনবাগের ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নে ডমুরুয়া গ্রামের মাওলানা আবু বক্কর ছিদ্দিক ও আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে এবং একই ইউপির পদুয়া হাজ্বী বশির উল্লাহ ও মইশাই গ্রামের আশুরা মেম্বারের বাড়িতে রাজমিস্ত্রী নির্মান শ্রমিক হিসাবে কাজ করতো। করোনা সংক্রমিত শ্রমিকরা হচ্ছে সিলেটের হবিগঞ্জের হাবিব (৩০) ,রাজু (২৫) ও জাকের (২৫)।
এরআগে ১৩ এপ্রিল সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউপির উন্দানিয়া গ্রামে আলী আক্কাস (৪৫) নামের অপর এক নির্মান শ্রমিক করোনা সংক্রমিত হয়ে মারা যায়।
সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ওই ইউপির চারটি বাড়ি লকডাউন করে লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে এবং করোনায় সংক্রমিত ব্যাক্তিদের সাথে মিলামিলা করায় বাড়ির দারোয়ান সহ দুই জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে করোনা পরীক্ষার জন্য। এছাড়াও ওই চার বাড়ির সকলকে হোমকোয়ারান্টানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচপিও) ডাক্তার মতিউর রহমান, করোনায় সংক্রমিতরা সহ ১৩ জনের একটি দল সেনবাগে নির্মান শ্রমিক হিসাবে কাজ করতো। গত রোববার (১৯ এপ্রিল) তারা সেনবাগ থেকে সিলেটের হবিগঞ্জে গেলে সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে। এতে ১৩ জনের মধ্যে ৩জনের শরীরে করোনার ভাইরাস সনাক্ত হয়। এরপর সোমবার রাতে সিলেট থেকে এক বার্তা সেনবাগ থানা পুলিশের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগের পৌছলে তারা মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে ওই বাড়িগুলো গিয়ে লকডাউন করে।