মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে জেলার বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের নলশ্রী গ্রামে কাওসার হোসেন (৩২) নামের এক যুবককে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সোমবার মধ্যরাতে ১৩ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহতের মা রওশনআরা বেগম বাদি হয়ে স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতা ও এক পল্লী চিকিৎসকসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। এর আগে সোমবার ভোর রাতে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাওসার হোসেন মারা যায়।
ওই গ্রামের মৃত আবদুর রব কবিরাজের স্ত্রী, নিহতের মা ও মামলার বাদি জানান, গত ১৩ এপ্রিল বিকেলে প্রতিবেশী মামুন নামের এক ব্যক্তির মোবাইল চুরি হয়। মামুনের পক্ষ নিয়ে আরেক প্রতিবেশী কাঞ্চন ও তার পুত্র জহিরুল পূর্ব বিরোধ মেটাতে কাওসারের ওপর ওই চুরির দায় চাঁপায়। দিনমজুর কাওসার এর প্রতিবাদ করায় কাঞ্চন ও জহিররুলসহ তাদের সহযোগিরা পরিকল্পিতভাবে কাওসারকে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ঘটনার পর আসামিরা তাদের বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখায় সে চিকিৎসা করাতে ব্যর্থ হয়। ১৯ এপ্রিল কাওসারের অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা উদ্ধার করে তাকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ২০ এপ্রিল কাওসার মৃত্যুবরন করেন।
মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বানারীপাড়া থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানান, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। উল্লেখ্য, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরধরে কাওসারের বড় ভাই মিজানুর রহমানকে ২০০৭ সালে প্রতিপক্ষরা পিটিয়ে হত্যা করেছিল।