করোনা ভাইরাসের কারণে দেশ যখন আতঙ্কিত প্রশাসন যখন ব্যস্ত সময় পার করছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নীলফামারীর ডিমলায় ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারী সদস্যরা সক্রিয় হয়ে অবৈধ পথে গরু আনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
উপজেলায় গত দুই দিনে বিজিবি সদস্য ৫টি ও ডিমলা থানা পুলিশ ৬টিসহ মোট ১১টি ভারতীয় গরু আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে চোরাকারবারী সদস্যরা ভারতীয় গরু আনার সময় চরখড়িবাড়ী বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় ৪টি গরু আটক করে। অপর দিকে উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ছাতনাই বাংলাপাড়া গ্রামের সবেল আকন্দের ছেলে শফিকুলের বাড়ী হতে ভারতীয় ৪টি গরুসহ শফিকুলকে আটক করে ডিমলা থানা পুলিশ।
চরখড়িবাড়ী ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার শাহ আলম বলেন, সীমান্ত দিয়ে যেন অবৈধ পথে কোন প্রকার মানুষ অথবা পন্য আসতে না পারে সে বিষয়ে প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার রাত ১টায় টহলরত অবস্থায় ভারতীয় সীমান্ত তিস্তাবস্তি হতে বাংলাদেশের টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ী সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারী সদস্যরা অবৈধভাবে ভারতীয় গরু আনার সময় গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় সোমবার রাতে ১টি ও মঙ্গলবার রাতে ৪টিসহ মোট ৫টি গরু আটক করি। অপর দিকে ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, পূর্বছাতনাই সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু আনার সময় রোববার রাতে ২টি ও মঙ্গলবার ওই ইউনিয়নের ছাতনাই বাংলা পাড়ার শফিকুলের বাড়ী হতে ৪টিসহ মোট ৬টি ভারতীয় গরু আটক করে ডিমলা থানা পুলিশ।
বুধবার পয্যন্ত ভারতীয় গরু আটকের বিষয়ে ডিমলা থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের ছেলে আমিনুল ইসলাম বলেন, শফিকুলের বাড়ী হতে ডিমলা থানা পুলিশ যে ৪টি গরু আটক করে থানায় নিয়ে আসে। গরু ৪টি আমি গত ১৭ মার্চ জলঢাকা উপজেলার মিরগঞ্জ হাট থেকে ক্রয় করি যাহার বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। কাগজপত্রের বিষয়ে ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, কাগজগুলির বিষয়ে পুলিশের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে বলেই মামলা করা হয়েছে।