দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইরি-বোরো মৌসুমের ধান কাটতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত রেখে কৃষি শ্রমিক পাঠাচ্ছে নীলফামারীর ডিমলা থানা পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যথাযথভাবে পালনের লক্ষে শুক্রবার বিকেলে ডিমলা থানা পুলিশের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কোচ ও মাইক্রো বাসে করে এসব শ্রমিক পাঠান ডিমলা থানা পুলিশ। দেশের বিভিন্ন হাওর অঞ্চলে প্রতি বছর দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে বিপুলসংখ্যক কৃষি শ্রমিক গিয়ে ধান কেটে দিয়ে আসে। কিন্তু এবারে করোনাভাইরাসের কারণে পরিবহন সঙ্কটসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে শ্রমিকরা যেতে না পারায় ওইসব এলাকায় চরম শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, নীলফামারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম, পিপিএম, মহোদয়ের নির্দেশে শর্ত সাপেক্ষে দেশের শ্রমিক সঙ্কট এলাকা টাংঙ্গাইল, ভোলা, ঢাকা, ফরিদপুর, নওগা, কুমিলায় আমরা গত ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পয্যন্ত মোট ১৬৩জন শ্রমিক পাঠিয়েছি। কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা জানান, তারা প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধান কাটতে যাই। তবে এবারের করোনা ভাইরাসের কারণে ও পরিবহন বন্ধ থাকায় তারা ধান কাটতে যেতে না পারায় কর্মহীন হয়ে খুবকষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করছিলেন। ডিমলা থানার সহযোগীতায় ১৬৩জন শ্রমিক কোচ ও মাইক্রো বাসে করে রওনা দেন।
তারা আরো জানান, কাজ করার পরে যে আয় হবে সেটি দিয়ে তারা তাদের সংসার চালাতে পারবে এবং এতে করে সরকারের কাছ থেকে খাদ্য সাহায্য নিতে হবে না।