করোনা আক্রান্তের পর প্রথম শেবাচিম হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরা একই (শেবাচিম) হাসপাতালের সেবিকা হিসেবে কর্মরত সুইটি বেগম (২৮) নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন। জেলা সদরের কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা নার্স সুইটি বেগমের দুই দফা স্টেটের পর নেগেটিভ রেজাল্ট আসায় সুস্থ্য হিসেবে তাকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসি মুখে বাড়ি ফেরার প্রাক্কালে পূণজীবন লাভ করছেন জানিয়ে সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে সুইটি বেগম বলেন, করোনা ভাইরাস জেঁকে ধরলে জীবনের দারপ্রান্তে পৌঁছানোর আলামত অনুভব করা যায়। তবে এতে আমি মোটেও ভীত নই, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমি মানব সেবায় ফিরে আসছি।
শনিবার সকালে করোনা ইউনিটের দায়িত্বরত এক চিকিৎসক এই তথ্য দিয়েছেন। চিকিৎসকদের ধারণা, সুইটি বেগম শেবাচিম হাসপাতালে সেবিকা হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় এধরণের কোন রোগীর দ্বারা সংক্রমিত হয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত ১৯ এপ্রিল শেবাচিমের আইসোলেশনে ভর্তি হওয়ার পর তার দেহে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হন।
সূত্রমতে, গত ২৩ এপ্রিল শেবাচিম হাসপাতাল থেকে প্রথমবারের মতো নার্স সুইটি বেগমসহ বাবুগঞ্জ উপজেলার দুইজনকে করোনা থেকে সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। সুইটি বেগম ছাড়াও শেবাচিমে কর্মরত একজন সহকারী অধ্যাপক, একজন সংযুক্ত মেডিকেল কর্মকর্তা এবং চারজন ইন্টার্নি চিকিৎসক ও একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্তের তালিকায় রয়েছেন।
জেলায় সর্বমোট ৩৬ জনের দেহে করোনার অস্থিত খুঁজে পাওয়া গেছে। এরমধ্যে সর্বাধিক আক্রান্ত বরিশাল সদর উপজেলায় ১১জন। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাবুগঞ্জে ১০, গৌরনদী ও হিজলা সমসংখ্যক তিনজন, বানারীপাড়া ও মেহেন্দিগঞ্জে দুইজন করে, মুলাদী ও উজিরপুরে একজন করে করোনা রোগী শেবাচিমে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে ২৬জন রোগী শেবাচিমের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।