করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে এক ধরণের স্থবিরতা বিরাজ করছে। সেই সুযোগে বাগেরহাট জেলার মোংলায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন চিলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) রোজিনা আক্তার। এমনকি স্বাস্থ কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেনও গাছ বিক্রির বিষয়ে কিছু জানেন না। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে কাউকে না জানিয়ে এভাবে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সীমানার মধ্যের গাছ কেটে নেওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। এছাড়াও এফডব্লিউভি রোজিনা আক্তারের বিরুদ্ধে সরকারি ওষুধ স্থানীয়দের বিতরণ না করে স্থানীয় ফার্মেসীতের বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আশালতা মিস্ত্রি ও শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে যে দিদি থাকেন তিনি গাছগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন। এভাবে নিয়ম নীতি না মেনে একজন সরকারি কর্মকর্তা কিভাবে এমন কাজ করল আমরা ভেবে পাইনা। আমাদের এলাকাবাসী এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
চিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন বলেন, এফডব্লিউভি রোজিনা আক্তার কাউকে কিছু না জানিয়ে হাসপাতাল কমপ্লেক্সের মধ্যে থাকা গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। আমরা এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি। এ ছাড়া ওই নারীর বিরুদ্ধে সরকারি ওষুধ স্থানীয়দের বিতরণ না করে স্থানীয় ফার্মেসীতের বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ইউনিয়ন বাসীর স্বাস্থ্য রক্ষার্থে ওই নারীকে এখান থেকে বদলী করে অন্য ভাল কর্মকর্তাকে পোস্টিং দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) রোজিনা আক্তার বলেন, আমি গাছগুলো বিক্রি করিনি। আমি গাছ কেটে রেখে দিয়েছি। কিন্তু অফিসিয়াল কাগজ ছাড়া গাছ কাটায় আমার ভুল হয়েছে।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক গুরু প্রসাদ ঘোষ বলেন, বিষয়টি আমি লোক মারফত শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।