বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বাহিরদিয়া-মানসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে নারী ইউপি সদস্য ও তার স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মারধরের শিকার নারী ইউপি সদস্য মোমেনা বেগম বিচার দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর ও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মোমেনা বেগম বলেন, আমার স্বামী ফরিদ হোসেনের কাছ থেকে আফজাল হোসেন নামের এক জনৈক ব্যক্তি ইট ক্রয় করেন। পরে আফজাল হোসেন ইটের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে টাকা আদায়ের জন্য আমার স্বামী ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিষদের শালিস বৈঠক হয়। শালিসের মাধ্যমে আফজাল হোসেন আমার স্বামীর পাওনা ৫৪ হাজার টাকা চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেন। চেয়ারম্যান ওই টাকা আমার স্বামীকে না দিয়ে এক নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাচ্চুর জিম্মায় রাখেন। পরে আমরা টাকা চাইলে শনিবার দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বসে আমার স্বামীকে মারধর করেন চেয়ারম্যান। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকেও মারধর এবং গালিগালাজ করেন চেয়ারম্যান। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাইদ মোঃ খায়রুল আনাম বলেন, একজন নারী ইউপি সদস্য একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছি। সত্যতা পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, শনিবারই ফরিদকে টাকা দেওয়া হয়েছে। টাকা নিয়ে ফরিদ কেন আমার সাথে খারাপ আচরণ করছেন তা জানতে চাইলে ফরিদ আমার উপর চড়াও হয়। আমাকে মারতে উদ্ধত্ত হয়। এ সময় অন্য মেম্বররা ফরিদকে চর থাপ্পর মারে। তবে আমি তাকে কোন মারধর করিনি।