অবশেষে বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার উত্তর একডালা মহল্লার পল্লী চিকিৎসক গোপাল চন্দ্র (৫২) কে হাতুড়ি দিয়ে পিটানো সে যুবক মশিউর রহমান (৩৩) কে গ্রেপ্তার করেছে বাগমারা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মশিউর রহমানকে আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত (২৪ এপ্রিল ) শুক্রবার বিকেলে উত্তর একডালা মহল্লার আনিছুর রহমানের ছেলে মশিউর রহমান একই এলাকার পল্লী চিকিৎসক গোপাল চন্দ্রকে তার বাবার অসুস্থতার কথা জানিয়ে তাদের বাড়িতে আসতে বলে। গোপাল চন্দ্র বাহিরে রোগী দেখার কারনে তার ফিরতে দেরী হয়। দেরীতে ফিরার বিষয়টি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেনি মশিউর রহমান। গোপাল চন্দ্র পাহাড়পুর মোড়ে আসার খবর পেয়ে বখাটে মশিউর রহমান ও তার সহপাটি মেহেদী হাসানকে সঙ্গে নিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। গোপাল চন্দ্রকে তার ঘরে অবস্থান করা দেখেই মশিউর রহমান ও মেহেদী হাসান তার মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। বখাটেরা মোটর সাইকেল ভাংচুর করে ক্ষ্যান্ত হয়নি, তারা গোপাল চন্দ্রের ঘরে ঢোকে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কোপাতে ও হাতুড়ি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। গোপাল চন্দ্রের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং বখাটেদের হাত থেকে পল্লী চিকিৎসক গোপাল চন্দ্রকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এ ঘটনায় রাতেই গোপাল চন্দ্রের ছেলে গৌরাঙ্গ চন্দ্র বাদী হয়ে দুই বখাটের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বখাটে মশিউর রহমানকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী মশিউর রহমানকে আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে বাগমারা থানার পুলিশ জানায়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, পল্লী চিকিৎসক গোপাল চন্দ্রকে হাতুড়ি পিটানোর ঘটনায় বখাটে মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আজ সোমবার গ্রেপ্তারকৃত মশিউর রহমানকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।