পাবনায় চাটমোহরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম পরশসহ অন্যরা মারপিটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ সোমবার বিএনপি নেতা,দুইজন ইউপি সদস্যসহ ১৪ জনকে আটক করেছে। এ মামলায় ইতোপূর্বে ২ গ্রাম পুলিশসহ ৪ জনকে আটক করা হয়। সোমবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে হরিপুর ইউনিয়নের চড়ইকোল গ্রামের ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কফিল উদ্দিন (৫৫),হরিপুর ইউপি সদস্য ইউনুস আলী (৪৫),ইউপি সদস্য মোজাম্মেল কিদার (৪৫),ইশা আলী (৪০),আলাফাত হোসেন স¤্রাট (২০),নয়ন হোসেন (৩০),টুবু হোসেন (৩৫),আলতাব (৩৫),জাহিদুল ইসলাম (৩৫) এবং হরিপুর গ্রামের আবুল হোসেন (৪৫),আলামিন হোসেন (৩০),আমিরুল (৪০) ও তফেজ আলী (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে,২০ এপ্রিল দিবাগত রাতে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চড়ইকোল গ্রামে করোনা প্রতিরোধ কমিটি নিয়ে ইউপি সদস্য ইউনুস আলীর সাথে ছাত্রলীগ নেতা পরশের ভাই আবুল কালাম আজাদের বিরোধ হয়। এর জের ধরে মারামারির ঘটনায় আবুল কাশেমের ছেলে ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম পররশ,একই গ্রামের আঃ ওহাবের ছেলে ও সাবেক ইউপি সদস্য বকুল হোসেন,আয়েজ উদ্দিনের ছেলে ইবাদত আলী,ইছাহক আলী ও ইছাহক আলীর ছেলে সাগর আহত হন। আহত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৫ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার থানায় উপজেলার হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মকবুল হোসেন,ইউপি সদস্য ইউনুস আলী ও ২ গ্রাম পুলিশসহ ২১ জনের নামে মামলা হয়। পুলিশ এ ঘটনায় হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত গ্রাম পুলিশ বরুলিয়া গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মিন্টু হোসেন,হাছেন আলীর ছেলে ছানোয়ার হোসেন ছানু,আলী আজগরের ছেলে কদর ও আলহাজ উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসে কে গ্রেফতার করে। সোমবার আরো ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
চাটমোহর থানার ওসি সেখ মোঃ নাসীর উদ্দিন জানান,আটককৃতদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।