দুর্যোগ, ঝঞ্জা, মহামারীর সাথে প্রতিনিয়তই লড়াই করে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। করোনা ভাইরাস রোগ (ঈঙঠওউ-১৯) এর প্রাদুর্ভাবজনিত বৈশ্বিক মহামারীর প্রভাব যাতে ভবিষ্যত খাদ্য নিরাপত্তা তথা কৃষি অর্থনীতিতে না পড়ে তা নিশ্চিতে তৎপর বাংলাদেশের কৃষি বিভাগ। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে চলতি বছর বাগেরহাটের কচুয়াতে হয়েছে বোরো ধানের বাম্পার ফলন । এক একটি বোরো ধানের ক্ষেত যেন কৃষকের এক এক টুকরো বেঁচে থাকার স্বপ্ন। সে স্বপ্নে যেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলাবদ্ধতা আর শ্রমিক সংকট হানা না দিতে পারে, সে লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অফিস বাস্তবায়ন করে চলেছে নানামুখী উদ্যোগ ও পরিকল্পনা।
বাংলাদেশকে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দেশ গড়ার লক্ষ্যে গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় উপজেলা কৃষি অফিস কচুয়ার উদ্যোগে উপজেলা চত্তরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সুজিৎ দেবনাথ ও উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোছাঃ লাভলী খাতুন এর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে কৃষকের নিকট ৫০% ভর্তুকিতে “মেকানিক্যাল রিপার” যন্ত্র হস্তান্তর করা হয়। সরকারি ভর্তুকিতে বিতরণকৃত ১টি রিপার যন্ত্র দিয়ে ১ ঘন্টায় ৫২ শতাংশ জমির ধান কর্তন করা সম্ভব হবে। এতে কৃষকের জ্বালানি খরচ পড়বে মাত্র ৯০ টাকা। নিজ জমিতে ব্যবহারের পাশাপাশি ভাড়ায় ব্যবহারে ১ বিঘায় আয় হবে ৮০০-৯০০ টাকা। উপরন্তু এ যন্ত্র দিয়ে ১ দিনে ৩-৪ একর জমির ধান কর্তন সম্ভব বিধায় চলমান শ্রমিক সংকটও অনেকাংশে লাঘব হবে।
এছাড়া করোনা সংকটের দরুন বহিরাগত শ্রমিকের আনাগোনায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে শ্রম বিক্রি শেষে নিজ এলাকায় ফিরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করাও দরিদ্র পরিবারের জন্য সমস্যাবহুল। সুতরাং সরকারের এহেন যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ উক্ত সমস্যা নিরসনে ভূমিকা রাখবে ।