যে কোনো ক্রান্তিকালে ব্যক্তি কি পরিবারের মানসিকতা, মানবিকতা, সহমর্মিতা যেমন প্রকাশিত হয়; বিপরীত দিকে বিভাজন, অমানবিকতা, অসহযোগিতাও প্রকাশ হয়ে থাকে। ভয়ঙ্কর কোভিড-১৯ মহামারির প্রাদুর্ভাব ঘটেছে এক বৈশ্বিক যুদ্ধের আকারে। কোভিড নাইনটিন আমাদের জাতীয় জীবনে বিপদ, দুঃখ-কষ্ট ও অনিশ্চয়তার আঘাত হানা ছাড়াও বিপুলসংখ্যক দরিদ্র মানুষের জীবনধারণের সমস্যা প্রকটতর হয়ে উঠছে। সর্বোপরি এই জাতীয় মহাদুর্যোগ সরকারের একার পক্ষে সামাল দেয়া মোটেই সম্ভব নয়। এ জন্য পূর্ণমাত্রায় দরকার সামাজিক সংহতি, সহমর্মিতা ও সহযোগিতার। দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তিগত ও ছোট ছোট দলগত উদ্যোগে বিপন্ন মানুষের মধ্যে ত্রাণ সহযোগিতাসহ নানা ধরনের স্বেচ্ছাসেবামূলক তৎপরতা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অনেকে একেবারে নিভৃতেও সহযোগিতা করছেন। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে লাখ লাখ মানুষ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে করোনা-দুর্যোগে কোনো না কোনো প্রতিকারমূলক কাজে নেমেছে। বিপন্ন মানুষের সহযোগিতায় ব্যক্তিগত উদ্যোগগুলোকে আমরা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয় বলে মনে করি। কারণ, এসব উদ্যোগের মধ্য দিয়ে একটি সমাজের স্বাভাবিক সংবেদনশীলতা, মানবতাবোধ ও পরার্থপরতার প্রকাশ ঘটে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে বাগাড়ম্বর-বিভাজন!
অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলে হেলাফেলা, বাগাড়ম্বর, বিভাজন প্রকট আকার ধারণ করছে। এ সময় তারা সহমর্মিতা ও সহযোগিতার তেমন বড় উদাহরণ রাখতে পারছেন না। রাজনৈতিক নেতাদের বাগাড়ম্বর, অতিকথন, একজন আরেকজনকে মশকরা, ঠাট্টা-তামাশার প্রতিযোগিতা কাম্য নয়। করোনার মহাদুর্যোগকালে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অপপ্রলাপ, বালখিল্য আচরণ, প্রকৃত পক্ষে তাদের চিন্তার দৌড় ও মন-মানসিকতার ছাপই প্রতিফলিত হচ্ছে। বিপদের সময়, দুর্যোগকালে যাদের পথ দেখানোর কথা, যারা জনসাধারণের পাশে থেকে সাহস জোগাবেন, তাদের থেকে বালকসুলভ মন্তব্য একেবারেই বেমানান। তাদের নির্বোধ আচরণে জনসাধারণ সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর আর আস্থা রাখতে পারছে না।
জাতীয় বীর চিকিৎসক ও নার্স
কোভিড-১৯ মহামারিতে আক্রান্তদের সেবায় পুরো বিশ্বে এক নম্বরের যোদ্ধা হলেন চিকিৎসক ও নার্স। করোনা-আক্রান্ত প্রতিটি দেশেই তাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। এই গুরুতর সঙ্কটকালে তারাই আমাদের অন্যতম ভরসা। বড় রকমের ঝুঁকির মধ্যেও তারা রোগীদের চিকিৎসার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন। সব দেশেই করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশেও ইতিমধ্যে একজন চিকিৎসক করোনায় মারা গেছেন। চিকিৎসকদের অভিযোগ, পিপিইর ব্যাপক ঘাটতি রয়ে গেছে। আর যেসব পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে, সেগুলোর সিংহভাগই মানসম্মত নয়। এন-৯৫ মাস্ক ছাড়া করোনা রোগীর সামনে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হলেও চিকিৎসকদের এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ করা হয়নি। বিদেশ থেকে এন-৯৫ মাস্ক আমদানির খরচ দেখিয়ে সরবরাহ করা হয়েছে দেশে তৈরি নিম্নমানের মাস্ক, এমন অভিযোগও উঠেছে।
রমযান সংযম ও সহমর্মিতার মাস
রমযানের শিক্ষা ধৈর্য ও সংযম। রমযানের একটি নাম হচ্ছে ‘শাহরুল মুওয়াসাত’। এর অর্থ ‘পারস্পরিক সহমর্মিতার মাস’। একে অপরের প্রতি সম্প্রীতি, সমবেদনা ও সহমর্মিতা রমযানের প্রকৃত শিক্ষা। এ মাসে আমাদের দান-খয়রাত, সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলাদা গুরুত্ব দেয়া কর্তব্য। দেশে বর্তমানে কোভিড নাইনটিনের প্রকোপে অগণিত মানুসের আয়-উপার্জন বন্ধ থাকায়, অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। সর্বোপরি বিশ্ববাসীকে এক কঠিন পরিস্থিতিতে পবিত্র রমযান পালন করতে হচ্ছে। শান্তির ধর্ম ইসলাম উদার ও মানবিক বার্তা নিয়ে বিশ্বময় এক ইতিবাচক সম্প্রদায় হিসেবে সুপ্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত। রমযানে শিক্ষা নিতে হবে সংযমের উৎকর্ষ থেকে। এটি পরস্পর আপোসÑমীমাংসার মাস। তাই এ মাসে ঝগড়া-বিবাদ থেকে বিরত থাকার বিশেষ হুকুম আছে। রাসূল (সা) ইরশাদ করেছেনÑ কেউ যদি তোমার সাথে ঝগড়া করতে চায়, তাহলে তুমি তাকে বল, আমি রোযাদার (মুসলিম শরিফ : ১১৫১)। অর্থাৎ, আমি তোমার কথার প্রতিউত্তর করবো না। যেকোনো পরিস্থিতিতে উস্কানিতে সাড়া না দিয়ে সংযম প্রদর্শন করাই রমযানের শিক্ষা।
সহমর্মিতার অন্যতম ক্ষেত্র দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা
সহমর্মিতার প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও ক্রেতা-ভোক্তাসাধারণের হাতের নাগালে রাখা। খাদ্যে ভেজাল না মেশানো এবং ওজনে কমবেশি না করা। মুসলিম বিশ্ব তো বটেই বহু অমুসলিম দেশেও রমযানের সময় ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্য কমিয়ে দেন। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোও রমযান ডিস্কাউন্ট বা রমযান অফার ঘোষণা করে। বাংলাদেশে দেখা যায় এর বিপরীত প্রবণতা। অধিক বিক্রি হওয়ার এ মওসুমে মুসলিম নাগরিকদের সিয়াম সাধনার সুবিধার্থে ব্যবসায়ীরা যদি সওয়াব ও কল্যাণের আশায় মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দ্রব্যমূল্য কমিয়ে দেন, মুনাফা কম করেন বা সম্ভব হলে সহায়তামূলক স্বল্পমূল্য নির্ধারণ করেন তাহলে রমযান ও সিয়াম সাধনার মূল লক্ষ্য বাস্তবায়িত হতে পারে। যারা বস্তাপঁচা খাদ্যসামগ্রীতে বারবার নকল তারিখ লাগিয়ে কিংবা রমযানের সুযোগে রোযাদারদের পকেট কাটার ধান্ধা করে তারা রোযার অর্থই বোঝেন না। বরং রমযানের কোনো উৎকর্ষ তাদের জীবনকে স্পর্শ তো করবেই না, বরং রমযান তাদের জন্য আসবে কঠিন পরীক্ষা হয়ে। ইসলাম শুধু অনুষ্ঠানসর্বস্ব ধর্ম নয়, এর মূল বাণীই হচ্ছে মানবতার উৎকর্ষ। আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য আর মানুষসহ সকল সৃষ্টির প্রতি সহানুভূতি ও ভালোবাসা। পবিত্র রমযানে মুসলমানের জীবন-জীবিকার সর্বত্র সততা, সংযম ও পবিত্রতার ছোঁয়া লাগবে এটাই স্বাভাবিক। ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি না করে অল্প লাভে অধিক বিক্রির সুযোগ নেবেন। যে কাজটিতে সরকারের পক্ষে পাহারা দেয়া সম্ভব নয়, বরং এ হলো প্রতিজন ব্যবসায়ীর সততা, মানবিকতা ও দায়িত্বের অংশ।
ব্যবসার ক্ষেত্রে ইসলামের নীতিমালা
ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইসলামের এমন সব কালজয়ী কল্যাণধর্মী সুচিন্তিত নীতিমালা ও সুদূরপ্রসারী বাজার পরিকল্পনা রয়েছে; যা বাস্তবায়িত হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও অনাকাক্সিক্ষত মূল্যস্ফীতি রোধ এবং সর্বোপরি বাজারের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ও অস্থিতিশীলতা দূর করা সম্ভব। দেশের অধিকাংশই ব্যবসায়ীরাই হাজি-গাজি; চলনে-বলনে, নামে-পরিচয়ে মুসলমান। অথচ তারা ইসলামের ব্যবসায়িক নীতিমালা মানছেন না। ইসলাম অধিক মুনাফার লোভে মজুদদারি নিষিদ্ধ করেছে। মা‘মার ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে ফাজালা (রা) বলেন, ‘আমি রাসূল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, পাপাচারী ছাড়া অন্য কেউ মজুদদারি করে না’ (তিরমিজি)। অন্যত্র এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ৪০ রাত পর্যন্ত খাদ্যদ্রব্য মজুদ রাখে, আল্লাহর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক থাকে না।’ বর্ণিত হয়েছে, ‘আমদানিকারক রিজিকপ্রাপ্ত হয় আর মজুদদার হয় অভিশপ্ত’ (দারেমি : ২৪৩৩)। মজুদদারের ঘৃণ্য মানসিকতার নিন্দা করে রাসূল (সা.) বলেন, ‘মজুদদার কতই না নিকৃষ্ট! দ্রব্যমূল্য হ্রাসের খবর তার কাছে খারাপ লাগে; আর মূল্যবৃদ্ধির খবরে সে আনন্দিত হয়।’ অন্য এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘মজুদদারের ওপর আল্লাহতায়ালা, ফেরেশতাকুল ও মানবজাতির লানত। আল্লাহতায়ালা তার কী ফরজ, কী নফল কোনো ইবাদতই কবুল করেন না’ (শামি : ৬/৩৯৮)।
রোযার মূল উদ্দেশ্য তাকওয়া
সাহরি খাবো, ইফতার পার্টি করবো এবং রাতের বেলা তারাবিহ পড়বো। ব্যাস, শেষ। রোযা রাখার উদ্দেশ্য এ নয়; বরং এ সব কাজের আসল উদ্দেশ্য হলো অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি করা। রমযানে যা কিছু করা হয়, এর মৌলিক উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকওয়ার ট্রেনিং দেয়া। তাকওয়ার অর্থ হলো ভয় করা, বেঁচে থাকা। অর্থাৎ, আল্লাহর আযাব থেকে ভয় করা, তাঁর আযমত ও জালালতের ভয় করা। সাধনা ও অনুশীলনের মাধ্যমে নিজের অসৎ প্রবণতা মিটিয়ে দিয়ে উৎকৃষ্ট গুণাবলীর অধিকারী হওয়া। অন্তরে যেন ভাল কাজের প্রেরণা এবং গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেতনা জাগ্রত হয়। আল্লাহর ভয় ও আখিরাতের চিন্তার প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত হয়। রাতের আঁধারে এবং অরণ্যের নির্জনতার মাঝেও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখবে, এরই নাম ‘তাকওয়া’। কুরআন কারিমে একেই রোযার মূল উদ্দেশ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কথা হলো, আমরা কি সর্বত্র বিস্তৃত সামাজিক অপকর্ম বিলুপ্ত করার ও নিজেরা তা থেকে বিরত থাকার নতুন করে অঙ্গীকার করেছি? আমাদের অন্তরে দেশ জাতির কল্যাণ ও উন্নতি সাধনের উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে কী? ঠাণ্ডা মাথায় ও ইনসাফের সাথে পর্যবেক্ষণ করার পর যদি এসব প্রশ্নের উত্তর ইতিবাচক পাওয়া যায়, তাহলেই আমাদের রোযা থাকা সার্থক হবে।
যাকাত, সাদকা ও ফিতরার মাধ্যমে সেবার সুযোগ
ইসলাম চায় দারিদ্রমুক্ত পৃথিবী, দারিদ্রমুক্ত সমাজ। আর এ দারিদ্রমুক্ত পৃথিবী ও সমাজ গঠনে যাকাত অনবদ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। যাকাতের মাধ্যমে সম্পদের প্রবাহ গতিশীল এবং সম্পদের পরিশুদ্ধি অর্জিত হয়, রাষ্ট্রের অর্থনীতি সচল হয়, উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, সমাজে এবং রাষ্ট্রে বেকারত্ব হ্রাস পায়। আল্লাহ নির্ধারিত নিয়মে যাকাত প্রদান করার ফলে সামাজিক সম্প্রীতি এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে। এ মাসে প্রতিটি ফরজের সওয়াব ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তাই রমযানে মানুষ যাকাত প্রদান করেন। সম্পদের যাকাত দেয়া নেয়ামতের শোকর আদায়ে আল্লাহর বিশেষ নির্দেশ। এটি কোনো ট্যাক্স নয়। আল্লাহর বিধান ও অন্যতম ফরজ ইবাদত। রমযানে যাকাত সাদকা ও ফিতরার মাধ্যমে মানবতার সেবার বিশাল সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এতিম, বিধবা ও গরিব মিসকিনদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া জরুরি। এ মাসে যাকাত দেয়া উত্তম। কেননা রাসূল (সা) এ মাসে বেশি বেশি দান খয়রাত করতেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিতÑ রাসুলুল্ল¬াহ ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল, আর রমযানে তার এ দানশীলতা আরো বেড়ে যেত (বুখারি শরিফ : ১৯০২)।
যাকাত নিছক দানই নয়, গরিবদের অধিকার
রমযান মাসের সাথে যাকাতের একটা সম্পৃক্ততা রয়েছে। কারণ অধিকাংশ মানুষই যাকাতের জন্য রমযান মাসকে বেছে নেয়। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছেÑ ‘নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর, যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও’ (সূরা নূর : ২৪/৫৬)। কল্যাণমুখী জীবনব্যবস্থায় সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করা এবং পিছিয়ে পড়া জনগণের জন্য অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তোলার প্রধান এবং অন্যতম সফল হাতিয়ার হচ্ছে যাকাতব্যবস্থা। ইসলামের নির্দেশিত পন্থায় যাকাত প্রদান করার মধ্যদিয়ে সমাজ থেকে দরিদ্রতার বিষাক্ত ছোবল দূর হয়। যাকাত অসহায়, দুস্থ লোকদের উপর ধনীদের করুণা নয়; বরং ধনী ব্যক্তিদের যাকাতের মালের উপর তাদের (অসহায়-দুস্থদের) আল্ল¬াহ প্রদত্ত ন্যায্যাধিকার। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেনÑ ‘তাদের (ধনীদের) সম্পদে ভিক্ষুক এবং বঞ্চিতদের হক রয়েছে’ (সূরা জারিয়াত : ৫১/১৯)। আল্লাহ উক্ত আয়াতের মাধ্যমে ধনীদের এ মর্মে নির্দেশ প্রদান করেন, তোমাদের মালের একটা অংশ গরিব-দুঃখীদের মধ্যে বিলিয়ে দাও। সুতরাং নিঃসন্দেহে বলা যায়, যাকাত নিছক দান-ই নয়; বরং গরিব, অসহায়, দুস্থদের ন্যায্য দাবি পরিশোধ করার একটি উত্তম মাধ্যমও।
সুতরাং রমযান এসেছে আমাদের জন্য গোটা বছরের শান্তি ও নিরাপত্তার বার্তা নিয়ে। আমরা যদি শান্তি-নিরাপত্তা চাই এবং এর জন্য এ পবিত্র মাসকে স্বাগত জানাতে পারি, তার মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষা করতে পারি, তাহলেই আমাদের ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরে আসবে।