নারায়ণগঞ্জ ফেরত লালমনিরহাটের প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শ্রমিক কামরুল ইসলাম ও তার সংস্পর্শে আসা তার ৭ বছরের শিশু পুত্র সালমান হোসেন এখন সুস্থ। দুই জনে সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসা গ্রহনের পর পনরায় তাদের নমুনা পরীক্ষা করলে তাদের নতুন রিপোর্ট নেগেটিপ এসেছে।
শনিবার (২ মে) যেকোন সময় হাসপাতাল থেকে তাদের ছাড়পত্র দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিবেন বলে লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায় নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন কারণে শনিবার তাদের ছেড়ে দেয়া না হলে রোববার (৩ মে) তারা পিতা-পুত্র বাড়ি যাবেন।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন হেল্প ডেস্ক সুত্রে জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের বাসিন্দা নারায়ণগঞ্জ ফেরত শ্রমিক কামরুল ইসলামের শরীরে গত ১০ এপ্রিল প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রামন ধরা পড়ে। কামরুল ইসলাম জেলার প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। এর তিন দিন পর তার সংস্পর্শে আসা বাড়িতে থাকা তার ৭ বছর বয়সী শিশু পুত্র সালমান হোসেনের শরীরেও করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। সালমান হোসেন জেলার ২য় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। পিতা-পুত্র দুই জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে করোনা ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হয়। ১৪ দিন চিকিৎসা গ্রহনের পর তাদের ২য় বার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই জনের করোনা সংক্রামনের ২য় রিপোর্ট নেগেটিপ আসে। ফলে জেলার ১ম ও ২য় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পিতা-পুত্র এখন করোনা মুক্ত ও সম্পুর্ন সুস্থ। তারা শনিবার অথবা রোববার যেকোন সময় হাসপাতাল থেকে বাড়ি যেতে পারে।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নিমর্লেন্দু রায় বলেন, জেলার প্রথম করোনায় আক্রান্ত কামরুল ইসলামের ১৪ দিন চিকিৎসার পর ২য় বার নমুনা পরীক্ষায় সব রিপোর্ট নেগেটিপ এসেছে। তিনি সম্পুর্ণ করোনা মুক্ত। তার পুত্র সালমান হোসেনেরও একটি রিপোর্ট নেগেটিপ এসেছে। আর একটি রিপোর্ট আজ পাওয়া যেতে পারে। ওই রিপোর্ট যদি নেগেটিপ আসে। তাহলে শনিবার বা রোববার পিতা-পুত্র দুই জনেই বাড়ি যেতে পাবে।