কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সালিশ বৈঠকের রায় বিপক্ষে যাওয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়ীতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার মৌকারা ইউনিয়নের গোমকট গ্রামের সাবেক মেম্বার আলী আশ্রাফের ছেলে জসিম উদ্দিনের বাড়ীঘরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ভাংচুর চালায় একই গ্রামের সবুজ, ইকবাল, শিমুল ও শাহিনের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের সন্ত্রাসী গ্রুপ। এ সময় লুকিয়ে থেকে প্রাণে রক্ষা পায় ওই পরিবারের লোকজন। হামলায় গোমকট গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে দিনমজুর কামাল হোসেন (২০) আহত হয়। পরে খবর পেয়ে রাত ১২টায় নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স ও স্থানীয় ইউপি সদস্য লোকমান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানায়, গোমকট গ্রামের রতনের ছেলে দিনমজুর কামাল হোসেন (২০) মাঠে ধান কাটার কাজ করার সময় শুক্রবার দুপুরে একই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে ইকবাল তাকে পাশের বাড়ীর বেলাল হোসেনের ছেলে শিমুলের ঘরে নিয়ে গিয়ে মোটর চুরির অজুহাতে বেধড়ক মারপিট করে। এ নিয়ে কামাল বিচার দাবী করলে গ্রামে সালিশী বৈঠক বসে। সালিশে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রায় হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সালিশদার জসিম উদ্দিন ও এয়াছিনকে হত্যার হুমকি দিয়ে রায় না মেনে চলে যায়। পরে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জসিমের বাড়ীতে হামলা চালায় একই গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে সবুজ, বাবুলের ছেলে ইকবাল, বেলাল হোসেনের ছেলে শিমুল, আবুল কাশেমের ছেলে শাহিনের নেতৃত্বে বহিরাগত ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় জসিমসহ তার পরিবারের লোকজন লুকিয়ে থেকে প্রাণে রক্ষা পায়।
ভূক্তভোগী জসিম উদ্দিন বলেন, তারা যে ভাবে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বাড়ীঘরে হামলা ভাংচুর করেছে আমাদেরকে সামনে পেলে মেরে ফেলতো। আমি প্রশাসনের কাছে সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।