সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার (বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি) ২১ নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ২৬৪ নেতা।
বর্তমান করোনার ক্লান্তি লগ্নে এসব নেতার পাঁচ শতাংশকেও তাদের নির্বাচনী এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করতে দেখা যায়নি। নির্বাচনের পর থেকে অদ্যবর্ধি এদের মধ্যে অধিকাংশ নিজ নির্বাচনী এলাকায়ই আসেননি। তবে করোনার কর্মহীন দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের নামে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া এক নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে গ্রুপ খুলে তৃণমূল পর্যায়ের স্বাবলম্ভী নেতাকর্মীদের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিএনপির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান অবস্থায় সারাদেশে দলীয় নেতাদের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের চিত্র জানতে কেন্দ্র থেকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য, সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, জেলা সভাপতি ও জেলার আহবায়কদের ‘করোনা মহামারির বর্তমান সংকটকালে ত্রাণ তৎপরতার বিবরণ’ শিরোনামে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ্য করা হয়েছে-আপনি আপনার এলাকার দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে চলমান সংকট মোকাবেলায় কি কি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন চিঠি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ারের মতো প্রভাবশালী নেতা রয়েছেন। এদের মধ্যে মজিবর রহমান সরোয়ারের পক্ষে কয়েক বার বরিশাল সদরে ত্রাণ বিতরণের খবর পাওয়া গেলেও অন্যান্যরা ত্রাণ বিতরণতো দূরের কথা নির্বাচনী এলাকায়ই আসেননি।
এরমধ্যে নির্বাচনের পর থেকে একবারও এলাকায় আসেননি বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) ও বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন ও নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর। পটুয়াখালী-৩ আসনের গোলাম মাওলা রনি, বরগুনা জেলার দুটি আসনে মনোনয়ন পাওয়া মতিউর রহমান তালুকদার ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব ত্রাণ দিতে আসেননি।
বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, নিজ এলাকায় কারা ত্রাণ দিচ্ছেন আর কারা দিচ্ছেন না ইতোমধ্যে আমরা সেই প্রতিবেদন তৈরির কাজ শুরু করেছি। কেন্দ্র থেকে যেভাবে চেয়েছে সেভাবেই প্রতিবেদন পাঠানো হবে।