পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নে জেলে ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় নাম একজনের, চাল দেয়া হয়েছে অন্যজন কে। যার কারণে তালিকাভুক্তরা চাল না পেয়ে খালি হাতেই ফিরেছেন। যাদের চাল দেয়া হয়েছে, তাদের অনেকেরই জেলে নিবন্ধন নেই। এছাড়াও দুস্থ জেলেদের চাল না দিয়ে বিত্তবানদেরকে চাল দেয়া হয়েছে। অর্থের বিনিময় এমন সুবিধা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী জেলেরা। সোমবার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জেলেদের এই বিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়।
ভুক্তভোগী জেলেরা অভিযোগে জানান, গরীব জেলেদের রেখে অর্থের বিনিময় অন্য পেশার লোকদের মাঝে জেলে বিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়েছে। যারা টাকা দিতে পেরেছে তারা চাল পেয়েছে, যারা টাকা দিতে পারেনাই তারা চাল পাননি। এমনকি চাল বিতরণের মাষ্টার তালিকায় নাম আছে এমন অনেক জেলেরাও চাল পাননি। একজনের নামের চাল অন্যজনকে দেয়া হয়েছে। যার কারণে চাল নিতে এসে চাল পাননি অনেক জেলে। চাল ছাড়াই খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে তালিকাভুক্ত অনেক জেলের।
ভুক্তভোগী জেলে মো.রুমিন, মো.জাহাঙ্গীর, শাহ জাহান, সোহরাব ফকির, সেলিম হাওলাদার ও হেলাল হাওলাদার বলেন, মেম্বাররা প্রথমে আমাদেরকে বলছে তোমাদের নাম তালিকায় নাই। যার কারণে আমরা চাল ছাড়াইতে ইউনিয়ন পরিষদে যাই নাই। পরে শুনি আমরাদের নামের চাল অন্য লোকেরা ছাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর আমরা ইউনিয়ন পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান বলেন তোমাদের চালতো আগেই বিতরণ করা হয়েগেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ছোটবাইশদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান হাওলাদার বলেন, তালিকা প্রণয়ন করেছে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্যরা। তারা কে কি করেছে আমি জানিনা। আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মাশফাকুর রহমান বলেন, ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ১২ জন জেলে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা মৎস কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলে ব্যবস্থা নিব।