নওগাঁয় লাফিয়ে রেকর্ড পরিমাণ একদিনে ৩২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মুনজের-ই মুর্শিদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে আছেন ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ কর্মকর্তা। এ নিয়ে নওগাঁ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৯ এ। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১ ষ্টাফ নার্স এবং ২৯ এপ্রিল তার স্বামী, এম্ব্যুলেন্সের ড্রাইভার, এমএলএসএস সহ একদিনে ১৬ জন আক্রান্ত হন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন বলেন, গত শুক্রবার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৩৩ টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল। সোমবার দিবাগত রাতে সেগুলোর রেজাল্ট নিগেটিভ আসে। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর এ ৭৩ জনের নমুনা পাঠানো হয়। মঙ্গলবার বিকেলে ই-মেইলে সেগুলোর রিপোর্ট আসে। এগুলোর মধ্যে ৩২ জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া যায়।
নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন, নিয়ামতপুর উপজেলায় ৮ জন, রাণীনগর উপজেলায় ৭ জন, সাপাহার উপজেলায় ৭ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ৬ জন, পতœীতলা উপজেলায় ২ জন, ধামইরহাট উপজেলায় ১ জন ও বদলগাছী উপজেলায় ১ জন। এর মধ্যে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার, স্বাস্থ্য সহকারী, রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার, নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী, ল্যাব টেকনোলজিস্ট, বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী এবং পতœীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রয়েছেন।
সিভিল সার্জন আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান আলাল বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাণীনগর, নিয়ামতপুর, মহাদেবপুর ও বদলগাছী হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালগুলো লকডাউন করা হবে কি না, তা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।