বগুড়ার ধুনটে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলায় রিপন আহমেদ (৩৮) নামে এক লাইনম্যানের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার চৌকিবাড়ী গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে। বুধবার রাত ১০টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, রিপন আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে ধুনট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে লাইনম্যানের কাজ করে আসছে। মঙ্গলবার বিকেলে ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একারনে লাইনম্যান রিপন আহমেদকে দিঘলকান্দি বাজারে বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামতের দায়িত্ব দেয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা।
বুধবার বিকেল ৪টায় সাব স্টেশন থেকে বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে খুঁটির উপর উঠে তার ও ট্রাসফরমার মেরামত করতে থাকে লাইনম্যান রিপন। কিন্তু এর কিছুক্ষন পরেই সাব-স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করায় বৈদ্যুতিক খুঁটির উপরই তার এক হাত ও পা পুড়ে গিয়ে ঝুলে থাকে সে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়ার হাসপাতালে প্রেরন করে। সেখানে রাত ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রিপন আহমেদেও চাচাতো ভাই জাহিদুল ইসলাম জানান, যে সব কাজ ধুনট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের করার কথা। কিন্তু তারা প্রায় সব কাজই তার ভাই রিপনকে দিয়ে করিয়ে নেন। একারনে রিপনের সাথে অফিসের কর্মকর্তাদের লেনদেন থাকায় তাকে খুঁটির উপর তুলে দিয়ে তাকে হত্যার উদ্যেশ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করেছে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
তবে এবিষয়ে ধুনট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের মথুরাপুর-চৌকিবাড়ী জোনের ইনচার্জ এমদাদুল হক বলেন, আমরা তাকে বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করতে বলেনি। তারপরও তিনি লাইন মেরামত করতে খুঁটির উপর উঠেছিলেন। অসাবধানতা বসত এঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন।