চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে ফের বসছেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে আজ (৯ মে) উপজেলা প্রশাসন ও বণিক সমিতির মধ্যকার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার থেকে দেশের শপিং মল, বিপনি বিতানগুলো খুলে দেয়ার সরকারি নির্দেশের আলোকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে আজ রাত সাড়ে ৯ টায় ফের বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা।
শনিবার দুপুরে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন হলরোমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাখি আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ নুরুল ইসলাম, ফেঞ্চুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বদরুদ্দোজা, মাইজগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান সুফিয়ানুল করিম চৌধুরী, উত্তর কুশিয়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আহমেদ জিলু, উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ এমরান উদ্দিন আহমেদ, ফেঞ্চুগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির আহ্বায়ক আবদুল বারি, সমিতির সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী আবদুস সালাম পুতুল, হাজী আবদুল হাই খসরু, মনিলাল ভৌমিক ও মাসার আহমেদ শাহ।
এ ব্যাপারে ইউএনও রাখি আহমেদ জানান, সরকারি নির্দেশে ১০ মে রোববার থেকে দেশের শপিং মল ও বিপনি বিতানগুলো নির্দিষ্ট সময় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলার বিষয়টি অবহিত করার লক্ষ্যে মুলতঃ এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, তবে বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট না খুললেও এতে প্রশাসনের কোন বাঁধা থাকবেনা, যা একান্ত ব্যবসায়ীদের ব্যাপার।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, সরকারি নির্দেশের পক্ষে তবে সার্বিক পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্তের প্রতি সহমর্মিতা থাকবে।
বাজার বণিক সমিতির আহ্বায়ক মোঃ আবদুল বারি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার সরকারি নির্দেশ সংক্রান্ত পরিপত্রটি অবহিত করেছেন ইউএনও মহোদয়। সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার। প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সচেতনতায় ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের শপিং মল ও বিপনি বিতানগুলো খোলা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে আজ রাত সাড়ে ৯ টায় সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ব্যবসায়ীদের মতামতের প্রেক্ষিতে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ফেঞ্চুগঞ্জের সচেতন নাগরিকরা মনে করছেন যেহেতু ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় এখনো করোনা ভাইরাস সংক্রমিত কোন লোক পাওয়া যায়নি যা ইতোমধ্যে হাসপাতাল সূত্রে প্রতীয়মান! সেহেতু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখাটাই উত্তম! কারণ লকডাউন থাকায় মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে সিলেট সিটির ব্যবসায়ীরা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই আলোকে ব্যবসায়ীদের যা ক্ষতি হওয়ার হয়েই গেছে! এই কয়দিনে কি আর হবে, প্রাণে বেঁচে থাকলে ব্যবসা করার অনেক সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।