ইয় মাস বয়সী ফাতেমা খাতুন। জন্মেও মাস খানেকের মধ্যে মারা যান মা। তবে বড় দুই বোন বিলকিস খাতুন ও অঞ্জনা খাতুনের কাছে মায়ের আদরে বড় হচ্ছে শিশুটি। কিন্তু শিশুটির যখন দুধসহ পুষ্টিকর খাবার দরকার,তখন তার ভাগ্যে জোটে পানি মিশ্রিত পাকলা সুজি। নির্মাণ শ্রমিক বাবা বিল্লাল হোসেন পায়ে সেপটিক ঘায়ে আক্রান্ত হওয়ায় এখন পঙ্গু। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি এখন কর্মহীন। অনাহারে-অর্ধাহারে অন্যেও জায়গায় ঘর তুলে দিনযাপন করছেন বিল্লাল হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা। তাই শিশু ফাতেমার জন্য দুধ কেনা তার জন্য অলীক স্বপ্ন।
স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে রোববার মা দিবসে মাতৃহারা শিশু ফাতেমার পাশে দাঁড়ায় চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠণ। রোববার সকালে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের রাজারদিয়ার গ্রামে জনৈক সাইফুল ইসলামের জমিতে একটি ঘর তুলে বসবাসরত বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে উপস্থিত হন উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আঃ হামিদ মাস্টার। তিনি শিশুটির পিতা বিল্লাল হোসেন,দুই বোন বিলকিস খাতুন ও অঞ্জনার হাতে শিশুটির জন্য নগদ টাকা ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। এ সময় স্থানীয় সাংবাদিক হেলালুর রহমান জুয়েল,শাহীন রহমান ও পবিত্র তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে চাটমোহর ব্লাড ডোনার ক্লাব শিশুটির জন্য গুড়া দুধ,সুজি,চিনিসহ শিশু খাদ্য প্রদান করেছে। ব্লাড ডোনার ক্লাবের সভাপতি শহিদুল ইসলাম,সাদিয়া খাতুন,হাসিনুর রহমানসহ অন্যরা রোববার সকালে বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে গিয়ে এই খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেন। এ ছাড়া সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন রোববার সকালে শিশুটির খাবারের জন্য তরণ দুধসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেছেন।